জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস ও পণ্য পরিবহণের ট্রাকসহ অন্যান্য
যানবাহণ বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়েছে গেটা শেরপুরের গারো পাহাড়ি অঞ্চল। হঠাৎ করে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে বাস চলচল বন্ধ করে দেয়ায় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ির যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ঢাকা ও ময়মনসিংহ সহ দেশের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা বাস বন্ধ থাকায় বিকল্পভাবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ও চরম অচলাবস্থা দেখা দেয়ার বিপাকে পড়েছে ব্যসায়ীরা। ব্যবসায়ী রাহাদ এন্টারপ্রইজের মালিক মোরাদ হোসাইন বলেন, পরিবহণ বন্ধ থাকায় নির্মাণ সামগ্রীর দাম ও বেড়ে যাবে। এতে করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়বেন।
ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন,পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকার পাশিপাশি সব ধরনের বাস বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে পন্য আনা নেয়া বন্ধ থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে অচরলবস্থা ছাড়াও পন্য সামগ্রীর দাম ও বেড়ে যাবে।
আর্টিস আ: সালাম বলেন, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ি চালিয়ে লোকসান হবে। তাই গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।
শেরপুর বাস-কোচ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুজিত ঘোষ বলেন,জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণকে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসায় শেরপুর থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাসযাত্রী তাহমিনা ফ্যাশনের মালিক আশ্রাফুল আলম বলেন, মাল আনার জন্য ঢাকায় যাওয়া দরকার। যেতে পারছি না। শুক্রবার সকালে বাস টার্মিনাল এসে দেখি বাস বন্ধ। বেকায়দায় পড়ে গেছি। বাস যাত্রী সরোয়ার্দী দুদুুুুুুু মন্ডল, বলেন, ময়মনসিংহের সিএনজি চালিত অটোরিকশার
ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা হলেও বাস বন্ধ থাকায় তা এখন প্রতিযাত্রীকে ২৫০ টাকা
দিতে হচ্ছে। বাস বন্ধ এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া বেশি আদায় করায় তারা
ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন