জগতের সকল অশুভ শক্তি বিনাস হবে এমন মানষকামনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গ্রামে গ্রামে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে কালীপূজা। বৃহস্পতিবার রাত এগারোটায় উপজেলার অধিকাংশ মন্দিরে শুরু হয় এ পূজা কর্যক্রম। ঢাক, ঢোল,কাঁশ শঙ্খ ও উলুধ্বনীতে মুখতির হয়ে ওঠে প্রতিটি কালী মন্দির প্রাঙ্গন। এর আগে সন্ধ্যায় স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনকে স্মরনে বাড়িতে এবং মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বলন করেছে সনাতন ধর্মালম্বীরা।
এছাড়া অধিকাংশ কালী মন্দিরে নাচে গানে মেতে ওঠে সনাতনীরা। পরে দেবীর পায়ে পূষ্পাঞ্জলি অর্পন করেন ভক্তরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তথ্য মাতে, অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’ ‘আদ্য মা’ ‘তারা মা’ ‘চামুন্ডি’ ‘ভদ্রকালী’ ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
আয়োজকরা জানান, নানা আয়োজনে মধ্যদিয়ে কালীপূজা উদযাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রদীপ প্রজ্বালন, ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, আরতি ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া রাতের আকাশে ওড়ানো হয়েছে ফানুস।
উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের সার্বজনীন শ্যামা মন্দিরের সাধারন সস্পাদক রতন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, তাদের মন্দির হলো জাগ্রত ও অনেক দিনের পুরানো। প্রতিবছরে ন্যায় এ বছরও কালীপূজা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন