একথা অনস্বীকার্য, উনবিংশ শতাব্দির শিল্পবিপ্লব-উদ্ভূত সমাজমানস থেকেই আজকের সাংবাদিকতার বিবর্তন শুরু। দু’টি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলস্বরূপ আধুনিক সাংবাদিকতার আরম্ভ ও বিকাশ। একটি হলো, পঞ্চবিংশ শতাব্দির মুদ্রণব্যবস্থা এবং অপরটি হলো তার চারশো বছর পর টেলিগ্রাফ। এই দুইয়ের সম্মিলনে মুদ্রিত তথ্যসমূহ অসম্ভব দ্রুতগতিতে দূর-দূরান্তে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়ে উঠেছে। প্রথমটির সূত্রপাত জার্মানিতে এবং দ্বিতীয়টির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রখ্যাত লেখক নেইল পোস্টম্যান তাঁর Amusing Ourselves to Death (১৯৮৫) নামক বইয়ে আধুনিক গণমাধ্যম সম্পর্কে যে বর্ণনা দেন তা হচ্ছে, এটা তো মার্কিন অগ্রগতি ও উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত, যা সারা পৃথিবী থেকে প্রসঙ্গ-বিবর্জিত তথ্য আহরণ করে দৈনিক সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যাকে অভাবনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেল এবং এটাই হয়ে উঠলো প্রাত্যহিক সংবাদ (The news of the day)| ।
নেইল পোস্টম্যানের যুক্তি, ‘টেলিগ্রাফই অপ্রাসঙ্গিক ও অসত্য তথ্যকে এক ধরনের বৈধতা দান করলো, এমন ধারণা প্রবল করে তুললো যে, তথ্যের যে মূল্যমান, তার সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বা সিদ্ধান্তের কোনো সংযোগ রক্ষার প্রয়োজন পড়লো না; তাকে শুধু অভিনবত্ব এবং আগ্রহ ও কৌতূহল সৃষ্টি করতে হলো।’
টেলিগ্রাফ এমন এক সমাজে বিকাশ লাভ করলো, যেখানে তার ব্যবহার ছিল সম্পূর্ণরূপে অবাধ, যাকে গালগল্প, অসার-কথাবার্তা, মিথ্যা-কলঙ্কলেপন, অপবাদ-পরনিন্দা ইত্যাদি নিয়ে কোনোরূপ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হলো না, বরং এই সব নিয়েই শোষণের এক বিশাল বাজার গড়ে উঠলো। এক্ষেত্রে সমসাময়িক সমাজ যেরকম চেয়েছিল, টেলিগ্রাফ তাকেই সহজ করে তুললো। এই বাজার স্বাভাবিক নিয়মে সেইসব উদ্যোক্তা দখলে নিয়ে নিলো; যাদের মধ্যে একজন ছিলেন জোসেফ পুলিৎজার। তার নামে, ‘পুলিৎজার’ পুরস্কার আজ একজন সাংবাদিকের জন্য আমেরিকার সর্বাপেক্ষা সম্মানজনক স্বীকৃতি। এই পুলিৎজার দায়িত্ব গ্রহণের পর New York Worldএর প্রচারসংখ্যা মাত্র তিন বছরের মধ্যে ১৫ হাজার থেকে আড়াই লাখে উন্নীত করেছিলেন, যা ছিল তৎকালীন বিশ্বে সর্বোচ্চ।
কীভাবে তিনি এটা সম্ভব করলেন? ব্রিটানিকা বলছে, ‘চমক সৃষ্টি এবং ধারাবাহিক উদ্দেশ্যমূলক অভিযানকে অবলম্বন করে পুলিৎজার আবেগ ও আদর্শের সমন্বয়ে এতদিনের প্রতিষ্ঠিত রীতি ও নিয়মে নতুন প্রাণশক্তি জাগিয়ে দিলেন।’ এক্ষেত্রে অন্য একজন সফল পথিকৃৎ হলেন উইলিয়াম হার্স্ট। ব্রিটানিকার মতে, তিনি যে কোনো মূল্যে প্রচারসংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে ছিলেন সংকল্পবদ্ধ। এমনকি, এজন্য সংবাদের মোড়কে মিথ্যা ও জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করতেও তিনি দ্বিধা করতেন না।
‘পেনি প্রেস’ এবং ট্যাবলয়েডও বিস্ময়কর বাণিজ্যিক সাফল্যলাভের উদ্দেশ্যে একই নীতি ও কৌশল অবলম্বন করে। এইভাবেই আধুনিক প্রচারযন্ত্রের বিকাশ সাধিত হয়, যেখানে উত্তেজনাকর আবেগপ্রবণতা এবং বিনোদনই মুখ্য হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে মানুষের উপযোগী কর্মপ্রবাহের জন্য যে সকল তথ্য আবশ্যক, সেই বিষয়টি মারাত্মকভাবে স্তিমিত হয়ে আসে। পোস্টম্যান লিখেছেন, ‘... আমাদের অধিকাংশ প্রাত্যহিক সংবাদই জড় ও নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির, সেখানে এমনসব তথ্যের সমাবেশ ঘটে, যা শুধু অর্থহীন কথা সৃষ্টি করে, কিন্তু কোনোরূপ তাৎপর্যময় কর্মপ্রবাহের দিকে পরিচালিত করে না।’
বৃটিশ-ভারতে সংবাদ সরবরাহের ক্ষেত্রেও ‘পেনি প্রেসে’র একটি প্রেরণাদায়ক ভূমিকা ছিল। তখন সমগ্র মুসলিম বিশ্বে কোথাও না ছিল ছাপাখানা, না ছিল টেলিগ্রাফ-ব্যবস্থা (আর অন্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির তো প্রশ্নই ছিল না)। কিন্তু সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি পশ্চিমা থেকে ঠিকই গৃহীত হয়েছে। আরো বড় কথা, পশ্চিমাদের নিকট থেকে সংবাদের সংজ্ঞাও মুসলমানদের গ্রহণ করতে হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, পাশ্চাত্যে সংবাদের সংজ্ঞা বহুলাংশে অদ্ভুত ও অভিনবত্বের সঙ্গে যুক্ত।
সংবাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ বা সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য কোনো সংজ্ঞা নেই। সংবাদ সম্পর্কে দুই ডজনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ এর বিভিন্ন সংজ্ঞার মধ্যে সাংবাদিকগণ একটি সংজ্ঞাকেই অনুসরণ করে থাকেন। সেটি হচ্ছে: ‘সংবাদ সমাজের বেশিরভাগ মানুষের বা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের অথবা একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বা আগ্রহোদ্দীপক।’
সংবাদকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বা আগ্রহোদ্দীপক করে তুলতে সংবাদকর্মীরা তাই সংবাদের উপাদান হিসেবে অপরাধ (Crime), , অর্থ (Money), ক্ষমতা (Power), যৌনতা (Sex), দ্বন্দ্ব (Conflict), যুদ্ধ (War), , ঘটনার পরিণাম (Consequence), , মানবিক আবেদন বা আবেগ (Human interest or emotion), , অদ্ভুত কিছু (Oddity) বা অস্বাভাবিকতা (Unusualness), , হাস্যরস (Humor), ), রহস্য (Suspense), , চরম বা পরম মাত্রা (Extreme ev Superlative), , চমৎকারিত্ব (Novelty) ইত্যাদি বিষয়কে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
পশ্চিমা বিশ্বে সাংবাদিকতায় একটি কথা প্রচলিত: Bad news is good news। ঐ বিশ্বে পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফাউন্ডেশনস (Council on Foundations)--এর মতে, পাঠকের চোখে যা অস্বাভাবিক বা বিরল, বিতর্কিত, নতুন অথবা আকর্ষক, সেটিই সংবাদ (News is something unusual, controversial, new, or interesting to an audience)| । তাই তাদের দৃষ্টিতে ‘কুকুর মানুষকে কামড়ালে সংবাদ হয় না, কিন্তু মানুষ কুকুরকে কামড়ালে সংবাদ হবে।’
কিন্তু, আমাদের তো গভীরভাবে এই চিন্তা ও বিবেচনা করা দরকার যে, সাংবাদিকতার লক্ষ্য, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ইসলাম কী বলে এবং সাংবাদিকতার গঠন-কাঠামো কেমন হওয়া উচিত? নিশ্চয়ই এই প্রশ্নগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ ও সাংবাদিকতা একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু, এই প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বস্তু ও আত্মিক মান কী এবং কী কারণে এই প্রতিষ্ঠান শোষণের হাতিয়ারে পরিণত হয়? সাংবাদিকতার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী? কোনো বিষয়ে ইসলামী পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এর অবস্থান কোথায়? লেখা ও লেখা ছাপানোর প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সংবাদ যে সংবাদ, এটা কীভাবে নিরূপিত হয়? মুদ্রণের যোগ্য কি অযোগ্য এটাই বা কীভাবে নির্ধারিত হয় এবং তার সঠিক মাপকাঠি কী? মুসলিম সমাজে একজন সাংবাদিকের প্রকৃত অধিকার ও দায়িত্ব কতখানি? সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
সংবাদপত্র জাতির দর্পণ। সংবাদপত্রের মাধ্যমে জাতি এবং সমাজের চিত্র সবার সামনে ফুটে ওঠে। তাই সংবাদ হতে হয় সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠ। সংবাদ উপস্থাপন, প্রকাশনা, সাংবাদিকতা সকল ক্ষেত্রেই ইসলামের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা আছে। আর এ জন্য সংবাদকর্মীর দায়িত্ব অনেক বেশি। কেননা, যে কোনো সংবাদ তার মাধ্যমেই জনসম্মুখে বেরিয়ে আসে। মিথ্যা সংবাদ সমাজের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে, ঐক্য বিনষ্ট করে, হানাহানি ও রক্তপাত ঘটানোর প্রতি উৎসাহিত করে।
তাই যে কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে তার সত্যতা যাচাই করা সংবাদকর্মীর অপরিহার্য দায়িত্ব। আর এ দায়িত্বের কথা উনবিংশ শতাব্দির শিল্পবিপ্লবের বহু পূর্বেই অর্থাৎ সপ্তদশ শতাব্দিতে নাজিল হওয়া মহাপবিত্র আল কুরআনেই বর্ণিত হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা সূরা হুজুরাতের ৬ নম্বর আয়াতে বলেন: ‘হে ঈমানদারগণ! যদি কোনো পাপাচারী ব্যক্তি তোমদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে।’
এ আয়াতে পাপাচারী ব্যক্তির সংবাদকে যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুতরাং আয়াতের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো সংবাদকর্মীর জন্য লোকমুখে শ্রুত কোনো ঘটনা সরেজমিন পর্যবেক্ষণ বা গ্রহণযোগ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া পত্রিকার পাতায় ছেপে দেয়া যাবে না।
সূরা বনী ইসরাঈলের ৩৬ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয়ই কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।’ এই আয়াতেও অজানা বিষয় থেকে সতর্ক থাকার সবিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ, অজানা বা অনুমান নির্ভর কোনো সংবাদ প্রকাশের দ্বারা মানুষের ইজ্জত-সম্মান, ধন-দৌলত ক্ষতির সম্মুখিন হয়। কখনো বা নিজের এবং পরিবারের প্রাণ নাশের অবস্থা তৈরি হয়। অথচ, এ সবের নিরাপত্তার ব্যাপারে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। আর কোনো ক্ষেত্রে সংবাদ যদি সঠিক না হয় তাহলে তা বুহতান অর্থাৎ অপবাদের পর্যায়ভুক্ত হতে পারে, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তার চর্চা করা, গীবত বা পরনিন্দার অন্তর্ভুক্ত হবে, যার ভয়াবহতাও বর্ণনাতীত। আল্লাহ তা‘আলা সূরা হুজুরাতের ১২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন: ‘তোমাদের কেউ যেন পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভ্রাতার গোশত ভক্ষণ করাকে পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণাই কর।’ এই আয়াতে গীবত তথা পরনিন্দাকে আপন মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণের সাথে তুলনা করা হয়েছে। হাদীস শরীফে ইরশাদ হচ্ছে, ‘পরনিন্দা ব্যভিচার থেকেও মারাত্মক।’ (আলজামে লিশুআবিল ঈমান; হাদীস নং ৬৭৪১) আল্লাহ তা‘আলা সূরা বাকারার ৪২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করছেন: ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিও না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন কোরো না।’ অন্য দুটি আয়াতে তিনি আরও বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো আর সত্যবাদীদের শামিল হও’ (সূরা আত তাওবা, ১১৯)। ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো’ (সূরা আহজাব, ৭০)।
সুতরাং শরীয়ত নির্ধারিত কয়েকটি স্থান ব্যতীত সর্বত্রই পরনিন্দা ত্যাগ করা অপরিহার্য। অন্যথায় ইহকাল ও পরকালের সমূহ ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী। পাশাপাশি সত্য, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সকল পাঠক ও দর্শকের প্রাণের দাবি। তাই একজন সংবাদকর্মীর সংবাদ অন্য দু’ চার জন মানুষের সংবাদের মতো হতেই পারে না। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘একজন সাধারণ পথচারীর চোখ আর একজন সাংবাদিকের চোখ এক নয়। একজন সাংবাদিক কখনোই মরার মতো পড়ে থাকলে কাউকে মৃত মনে করবেন না। তাই, যাচাই ছাড়া কোনো সংবাদ প্রচার করা যাবে না।’ (নিরীক্ষা, গণমাধ্যম সাময়িকী, নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০১৩, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা ৩১)
পরিতাপের বিষয় হলো, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও আমাদের পত্র-পত্রিকার কোনো সংবাদে ঈমান-আকীদা ও ইসলামী চেতনা বিরোধী, সংবাদ, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ফিচার ইত্যাদি প্রকাশে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ যাচাই, তথ্য উপস্থাপন, বাক্য ও শব্দচয়ন, উপস্থাপনাশৈলীর ব্যাপারে ইসলাম থেকে উদাসিনতা ও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব ফুটে উঠে। অনেক ক্ষেত্রেই ইসলামী নীতিমালার অনুসরণ করতে দেখা যায় না। অথচ, সংবাদ উপস্থাপন, প্রকাশনা, সাংবাদিকতা সকল ক্ষেত্রেই ইসলামের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা আছে। এসব নীতিমালা বাস্তবায়ন না করার ফলে লেখক, পাঠক সকলেই মিথ্যা, গীবত, শেকায়াত, অপবাদ, সম্মানহানী, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রকাশ ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ধরনের গুনাহে অজান্তেই লিপ্ত হচ্ছে, যার ফলে ধর্মবিরোধিতা ও সকল প্রকার ধর্মহীনতা ইদানিং সংবাদপত্র প্রকাশের আবশ্যকীয় অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লেখক: প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এবং প্রাক্তন চেয়ারমান, মিডিয়া স্টাডিজ, ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটি, বাহাওয়াল্পুর, পাকিস্তান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন