এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। রাজধানীর প্রতিটি বাসস্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভিড়।
বাস না পেয়ে অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা ও সিএনজিতে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল। আর তাতে কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে ছুটছেন যাত্রীরা। তাই চাপ বেড়েছে কমলাপুরে।
শনিবার (৬ অক্টোবর) ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই স্টেশনের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রী বেশি হওয়ায় অনেকেই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কিনতে পারছেন না। আবার টিকিট পেলেও ট্রেনে উঠতে পারছেন না অতিরিক্ত যাত্রী থাকায়।
স্টেশনে দায়িত্বে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় স্টেশনে যাত্রী বেড়েছে। যাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রেনে যেতে হচ্ছে। অনেক কষ্ট করে তারা টিকিট পেয়েছেন এখন ট্রেনে উঠতে পারা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য পরিবার নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করা এক যাত্রী জানান, জরুরি প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে। কিন্তু টিকিট পাইনি। এখন কিভাবে যাব তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
আরেক যাত্রী জানান, বাড়িতে মা অসুস্থ। তাই বাড়ি যেতে হবে।ডাবল ভাড়া দিয়ে ধানমন্ডি থেকে কমলাপুর এসেছি। ট্রেনের টিকিটও পাইনি। তাছাড়া এত মানুষের ভিড় ঠেলে ঠিকভাবে যেতে পারব কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।তিনি বলেন, যেভাবে ধর্মঘট চলছে মনে হচ্ছে দেশের অভিভাবক বলতে কেউ নেই।দুদিন হয়ে গেল কেন সরকার এটার কোন সমাধান করছেন না? মানুষকে কেন এত ভোগান্তি দিচ্ছেন।
স্টেশনে আসা অনেক যাত্রী এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সরকারের উচিত জ্বালানি তেলের দাম কমানো। তানা হলে সবকিছুর দাম বেড়ে যাবে।তারা এটার দ্রুত সমাধান দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন