গত শুক্রবার থেকে হঠাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন গারো পাহাড়ি অঞ্চল ঝিনাইগাতী, শ্রবিরদী ও নালিতাবাড়ির দুরপাল্লার যাত্রীরা। ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাত্রী চলাচল করলেও দুরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছন মহাবেকায়দায়। এখানে ট্রেন না থাকায় ট্রেনেও যাতায়াত করতে পারছেন না যাত্রীরা। তাই ভেঙে ভেঙে শেরপুর-ময়মনসিংহ, তার পর ঢাকায় যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে খরচ, কষ্ট ও ভাড়া গুণতে হচ্ছে ৩/৪ গুণ বেশী। অতিরিক্ত সময়ব্যায় ও সীমাহিন দুর্ভোগতো পোহাত হচ্ছেই। তাই অত্যন্ত অসহায় হয়ে যাতায়াত করছে পাহাড়ি অঞ্চলের যাত্রীসাধারণ। হরতালের ২য় দিন শনিবার বাসস্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে। অত্যন্ত অসহায়ভাবে যাতায়াত করছে যাত্রীরা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে হতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সকল প্রকার বাস, পন্যবাহি ট্রাক কর্মবিরতি পালন করছে শেরপুর, ঝিনাইগাতীর পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। ফলে গারো পাহাড়ি অঞ্চলের ঢাকা কোচসহ আন্তজেলার সকল রুটে বাস সহ সকল পরিবহণ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডিজেল-কেরসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিক সংগঠন হঠাৎ করে এই কর্ম বিরতির ঘোষনা দেন। জনগণ কিছু বুঝে উঠার আগেই সকল যানবাহন চলাচাল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোৃগ ও বিপাকে পড়ে সাধারণ যাত্রীগণ। বাস মালিক শ্রমিকরা বলছেন, হঠাৎ ডিজেল-কেরসিনের দাম বাড়ালেও ভাড়া বাড়ানোর সীদ্ধান্ত জানানো হয়নি। সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন নামানো হবে না। অপর দিকে ব্যাপক সমস্যায় পড়ে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ছোট ছোট যানবাহন গুলো এই সুযোগে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের নিকট থেকে। সব মিলিয়ে অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী সাধারণ!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন