শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

টিকেট যেন সোনার হরিণ

৩শ’ টাকার টিকিট কিনতে হচ্ছে ১৫শ’ টাকায় পরিবহন ধর্মঘটে ট্রেনে যাত্রীর চাপ

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ট্রেনে। সান্তাহার জংশন স্টেশনসহ উত্তরাঞ্চলের রেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের উপচে ভিড় লক্ষ করা গেছে।

তবে সান্তাহার জংশন স্টেশনসহ উত্তরাঞ্চলের স্টেশনগুলোতে বেশিরভাগ ট্রেনের টিকিট চলে যাচ্ছে কালোবাজারিদের হাতে। সাড়ে ৩শ’ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ৫শ’ টাকায়।
রেলের টিকেট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হওয়ায় রেলের বুকিং কাউন্টার মাস্টার ও বিভিন্ন ফটোকপি ও কম্পিউটার দোকানদারের কাছে জিম্মি হয়ে পরেছে ট্রেন যাত্রীরা। এ অবস্থায় ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ মূল্যে টিকিট বিক্রি করে যাত্রীদের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
জানা যায়, করোনার সময় ট্রেন যাত্রীদের চলাচলের সুরক্ষায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী নিজস্ব কাউন্টারের পরিবর্তে অনলাইনে টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেয়। এতে সাধারণ যাত্রীরা বিভিন্ন কম্পিউটার, ফটোকপির দোকানে গিয়ে টিকেট কিনতে যেয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি টাকা দিচ্ছেন। সরকারী আইন অনুযায়ী যাত্রীদের ভোটার আইডি র্কাডের নাম্বার ও মোবাইল নম্বর দিয়ে টিকিট বের কারার কথা থাকলে এসব দোকানদাররা যেকোন ভোটার আইডি র্কাড ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে অবৈধভাবে আগাম টিকিট বের করে যাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করছেন।
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সোলাইমান আলী জানান, সান্তাহার জংশন শহরের জনৈক এক ব্যাক্তির দোকান থেকে সান্তাহার থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর পঞ্চগড় ট্রেনের ৩৬০ টাকার একটি টিকেট ১২শ’ টাকায় কিনেছেন। নাটোরের আসান হাবিব জানান, সান্তাহার থেকে নাটোরের দুটি টিকেট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩শ’ টাকা বেশি দিয়ে নিতে হয়েছে।
সান্তাহার রেল স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ট্রেনের যাত্রীর চাপ বেড়েছে। রেলের কাউন্টারে সব টিকিট দেওয়ার নিয়ম নেই। শতভাগের মধ্যে আমরা ৫০ ভাগ দিতে পারি বাকিটা অনলাইনে দেয়া হয়। এজন্য সবাই কাউন্টারে টিকিট পায় না। এ কারনে ট্রেন যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দেখেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন