ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবে সরকারি সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশের সাথে নৌযান না চালানোর ঘোষণা দিয়ে গতকাল সন্ধ্যার আগে থেকে বরিশালের লঞ্চ মালিকরা টার্মিনাল থেকে নৌযান সরিয়ে নিয়েছে। পটুয়াখালী, ভোলা নদী বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের শতাধিক লঞ্চ স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েছে। মালিক নেতৃবৃন্দ আজ বিকেলে ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসলেই লঞ্চ চলাচল শুরুর কথা জানিয়েছেন।

লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে আমরা সরকারের কাছে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সরকার এতে সাড়া দেয়নি। কথা ছিল গতকাল শনিবার দুপুরের মধ্যে আমাদের ডেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। মালিকরা বলছেন, লস দিয়ে তারা আর লঞ্চ চালাবেন না। তাই লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। আজ বিকেল ৩টায় বিআইডব্লিউটিএর সাথে আমাদের বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে দাবি অনুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধি করা হলে আমাদের নেতৃবৃন্দ লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল সন্ধ্যায় শুধুমাত্র বরগুনা ও ঝালকাঠি থেকে আসা দুটি বেসরকারি নৌযান যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গেছে। বিআইডব্লিউটিসি’র রকেট স্টিমারও বাগেরহাট থেকে পিারোজপুর-ঝালকাঠি হয়ে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল বন্দর ত্যাগ করে সন্ধ্যার পরে।