ভাড়া বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে গারো পাহাড়ি অঞ্চলের কাঁচা বাজারেও। হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ৩ দিন ধরে পরিবহন ধর্মঘট চলার পর ভাড়া বৃদ্ধির জন্য প্রত্যাহার হলেও এখনও কাঁচাবাজার স্বাভাবিক অব¯’ায়ই রয়েছে। তবে ২/১ দিনেই সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা করা হ”েছ। দু-চারটি সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও বেশির ভাগের ক্ষেত্রে দাম আগের মতোই রয়েছে।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, ডিজেল-কেরসিনের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়বে কাঁচাবাজারে ও। বেড়ে যাবে শাকসবজি বা মাছ-মাংসের দাম।
সাধারণ ক্রেতাদের ভাবনা, দেশে ডিজেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ার কারণে পরিবহন খাতে যেমন ভাড়া বেড়ে গেল তেমনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও সব ধরণের জিনিসপত্রের দামও স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে সর্বখেত্রেই। ইতোমধ্যেই
কয়েকটি সবজির দাম ৫/ ১০ টাকা কেজিতে বেড়েছে, যা কাঁচাবাজারে খুব অস্বাভাবিক। তবে এর প্রভাব পড়বে সর্বখেত্রেই। অগাম শাক-সবজি এমনইতেই চড়া দামে বিক্রি হ”েছ। তার পরও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আগের দামেই রয়েছে।
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বা ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালেই পণ্যবাহী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন ধর্মঘটে যাওয়ার ডাক দেয়। জেলায় জেলায় বাস না চালানোর ঘোষণাও দেয়া হয়। তেলের দাম না কমিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের জন্য মাথায় বাড়ি।
আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে পণ্য পরিবহন ব্যয়। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে বাড়তি দামের চাপটা ক্রেতার কাছে এখনও বোঝা হয়ে পৌঁছায়নি। পুরোপুরি প্রভাব পড়ার পর বুঝা যাবে বাস্তব অব¯’া।
আমরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষে মধ্যে এই খবরে আতংক বিরাজ করছে।তারা বলেছেন, দাম আরো বাড়লে তো বাজারের কাছেই আসা যাবে না।’

বাজারগুলোতে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলুর দাম ২৫ থেকে ২৮ টাকা। ইন্ডিয়ান রসুন ১৪০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। বিদেশি আদা ১৪০ টাকা। দেশি আদা দেশি ৮০ থেকে ১০০। দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আদা, রসুন, আলু ও পেঁয়াজ হয়তো আগের দামেই পাওয়া যাবে। বাড়লেও কোজতে ২/৪ টাকা বাড়তে পারে। অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়ে যাবে। এমনিতেইতো দাম বেশি। তেলের দাম বাড়ায় সব পণ্যের দাম অরো বাড়বে নি:সন্দেহে। এমনইতেই
দাম বাড়া সবজির মধ্যে আছে কাঁচা মরিচ, পেঁপে, গাজর, টমেটো ও সিম।
কাঁচা মরিচ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা হয়েছে। পেঁপে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ও টমেটোর দাম ১০ টাকা বেড়ে এখন ১৪০ টাকা কেজি। আর সিম ১০ টাকা কেজিতে বেড়ে ১১০ টাকা হয়েছে।
বরবটির দাম প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। পাতাকপি ৫০ টাকা পিস। কুমড়া ৪০ টাকা কেজি। বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। কচুরমুখী ৪০ টাকা কেজি। ধনে পাতা ১৪০ টাকা। শসা ২০-২৫ টাকা কেজি। ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস। লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস। চিচিংগা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা। মুলা ৫০ টাকা কেজি। করলা ৮০ টাকা। লেবু ২০ টাকা হালি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহনের খরচ বাড়বে। এখনও ওভাবে সব সবজির দাম না বাড়লেও দাম আরো বাড়বে। তবে সবজি কিনে খেতে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষের কষ্টই হবে।’
বাজারে মাংসের দাম এখনও আগের দামেই আছে। ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। লাল লেয়ার ২২০ টাকা। সোনালি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা। খাসির মাংস ৮৫০ টাকা