সপ্তাহ বাদেই ধান কাটার অগ্রহায়ণ মাস। যদিও কৃষি বৈচিত্র্যের কারণে কার্তিক মাস থেকেই শুরু হয়েছে আমন জাতের ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ। তবুও উৎসবতো আর কার্তিক মাসে হয় না। সেটা হতে হবে অগ্রহায়ণের ১ তারিখেই।
আর সেজন্য চাই নতুন চালের ভাত ও নতুন আলুর ব্যাঞ্জন। বাজারে এখন শীত মৌসুমরে সব সবজি আসলেও আসেনি নতুন আলু। সে কারণেই চাষিদের সব মনোযোগ এখন আলুর দিকে। এক দেড় মাস আগেই লাগানো আলুর জমিতে সার্বক্ষনিক সেচ, নিড়ানি, সার ও কীট প্রয়োগ করে দ্রুত আলু উৎপাদনের উপযোগী করা হয়েছে। যেন নবান্নের বাজার ধরা যায় ।
বগুড়ার আলুর আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মৌসুমে নবান্নের বাজারে পাকড়ি জাতের নতুন আলু ৪শ’ টাকা এবং সাদা হল্যান্ড জাতের আলু ৩শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এবার অবশ্য আলুর দাম অত বেশি হবে না। কারন বন্যার প্রাদুর্ভাব না থাকায় এবার বিপুল পরিমাণ জমিতে আগাম আলুর চাষ করেছে চাষিরা।
বগুড়ার আঞ্চলিক কৃষি দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , বগুড়া ,জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ মিলিয়ে ৪ জেলায় এবার ১ লাখ ২৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ৫শ ৪০ মেট্রিক টন। সবচেয়ে বেশি বগুড়া জেলায় ৫৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৮১২ মেট্রিক টন, জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩১ মেট্রিক টন,পাবনায় ৯৭০ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার ৮৭৮ মেট্রিক টন এবং সিরাজগঞ্জে ২ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ৪৯ হাজার ৯০৯ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই ২ হাজার ৬৩৬ হেক্টরে আলু আবাদের কাজ শেষ হয়েছে। এই জমির উৎপাদিত আলুই নবান্নের বাজারে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। অপরদিকে আলু চাষীরা বলেছেন এবার আলু বীজ , সার, কীটনাশক ও সেচের খরচ বেড়েছে । তবে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ফলন গত বছরের তুলনায় বেশি হবে । ফলে বাজারে নতুন আলুর দাম ও কিছুটা কম হতে পারে গত বছরের তুলনায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন