ঢাকার সাভারের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট কর্তৃক গঠিত পরিচালনা কমিটি।
প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সোমবার সাভারের আমিনবাজারে দুটি ও বলিয়াপুরে দুটি ভাড়া করা ওয়্যার হাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও গঠিত পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য।
পরে সিলগালা করা হয় ওয়্যার হাউজগুলো। তবে ইভ্যালির গ্রাহকদের তাদের পণ্যের রশিদ সংরক্ষণের রাখার পরামর্শও দিয়েছে গঠিত বোর্ড।
বোর্ডের ব্যবস্থানা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলনসহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল মজুত দেখতে পান তারা।
পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বোর্ডের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, আজকে ওয়্যারহাউজ পরিদর্শনে সরাসারি দেখার জন্য এসেছি। কিন্ত ইভ্যালির সম্পদের কোন হিসেব করা হয়নি। কারণ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অডিট রিপোর্টের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
এছাড়া ইভ্যালি থেকে যারা পণ্য পেয়েছেন বা পাননি। এমনকি বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে গ্রাহক পণ্যের জন্য পাওয়া এসএমএস সংরক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পরিচালনা বোর্ডের ব্যবস্থানা পরিচালক মাহবুব কবীর মিলন।
প্রসঙ্গত; গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী ১১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে সব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর এক গ্রাহকের করা শুনানি নিয়ে ইভ্যালির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ১৮ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের হাইকোর্টের বেঞ্চ আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে ৫ সদস্যের এক কমিটি গঠন করে ইভ্যালি পরিচালনা করার আদেশ দেন।এই কমিটি ইভ্যালির কোথায় কী আছে সবকিছু বুঝে নেবেন। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন