শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আদালত

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ঝুঁকি। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে চরম ঝুঁকি নিয়ে এখন চলছে আদালতের কার্যক্রম। যে কোন সময় দুর্ঘটনার উদ্বেগ উৎকন্ঠা সংশ্লিষ্টদের। বড়লেখায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (চৌকি আদালত) ও সাবরেজিষ্ট্রার ভবন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন থেকে জরাজীর্ণ ও ডেমেজ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান দু’টির কার্যক্রম। এতে ভবন ধসে যেকোন সময় বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন উপকারভোগীরা।

জানা যায় ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সরকার ফৌজদারি আদালত পরিচালনার জন্য বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। ১৯৯২ সালে সরকারি আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করায় সেখানে উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিস স্থানান্তর করা হয়। ২০০৪ সালের শেষের দিকে দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সরকারি সিদ্ধান্তে প্রায় ১ যুগ অরক্ষিত ও জরাজীর্ণ ভবনে বড়লেখা উপজেলা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়।
ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ আদালত ও সাবরেজিস্ট্রার ভবনের ছাদের ও দেয়ালের আস্তর খসে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি এজলাসে বিচারকার্য চলাকালীন ছাদের আস্তর খসে খোয়া বের হয়ে ভেঙে ও বৈদ্যুতিক পাখা ছিটকে আইনজীবীদের মাথায় পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার পর থেকেই আদালতের স্টাফ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা রয়েছেন আতঙ্কে।
গত ২৮ মে আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৫০ ফুট দীর্ঘ সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। অরক্ষিত হয়ে পড়ে কোর্ট হাজতখানা। পুলিশ ও আসামির নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এদিকে ভবনের ছাদ চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হয় আদালত ও সাবরেজিস্ট্রার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। অন্যদিকে ডেমেজ ভবনের দেয়াল ও নিরাপত্তা প্রাচীর যে কোন সময় ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রয়েছে আদালতের এজলাস, খাস কামড়া, এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ ও মহিলা হাজতখানা। অরক্ষিত নষ্ট হওয়ার পথে বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত আলামত। দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তোরা খসে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁয়ে পড়ে পানি। ভবন সংকটে মহিলা হাজতখানায় বাস করেন আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত বাবলু জানান, ডেমেজ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারিক কার্যক্রম। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ৬ বছরে কয়েক দফা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু আজও ব্যবস্থা নেয়ার খবর পাননি। জনস্বার্থে দ্রুত নতুন আদালত ভবন নির্মাণ জরুরি।
বড়লেখা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার নিতেন্দ্র লাল দাস বলেন, সরকারের বড় অংশ রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নথিপত্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন