নীলফামারীর ডোমারে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরধরে এরশাদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা, এ বিষয়ে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভুগি পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে এরশাদ আলীর সাথে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিজানুর, মশিউর, হাবিবুর ও এরশাদের ভাই রাজ্জাকের সাথে জমিজমা নিয়া দীর্ঘদিন যাবত দন্দ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে মিজানুর, মশিউর, হাবিবুর, রাজ্জাকসহ অনেকে দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা তাদের দলবল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এরশাদের বসতভিটায় এসে গালিগালাছ করতে থাকে। মিজানুর তার বাহিনী নিয়ে এরশাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বেড়াচাটি ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এরশাদ এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধরক মারপিট করে। পরে এরশাদের স্ত্রী মুক্তামালা স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও প্রচন্ড লাঠি পেটা করে শত্রুরা। এরই এক পর্যায়ে মিজানুরের হাতে থাকা ছোঁড়া দিয়ে এরশাদের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে এরশাদ অজ্ঞান হয়ে পরে যায়। মুক্তামালা অভিযোগ করেন তার ফুপু ছকিনা বেগম ঘটনা স্থলে গেলে তাকেও মারধর করে দূর্বৃত্তরা। পরে এলাকাবাসী এরশাদকে দ্রুত অটোযোগে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরশাদের প্রচন্ড রক্তক্ষরণের কারনে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাট করেন। এরশাদ রংপুরে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে এরশাদের স্ত্রী মুক্তামালা বাদী হয়ে গত ৪ নভেম্বর ডোমার থানায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা নং-০১ দায়ের করে। মামলা করার কারণে আসামী পক্ষ বাদী ও স্বাক্ষীগণকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে বলে মুক্তামালা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন