বহুল প্রতিক্ষিত রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরি চলাচলের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের ৫০ বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে কাক্সিক্ষত এই ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ও পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী। এসময় রুস্তুম আলী ফরাজী মাছুয়া ঘাট থেকে ফেরি নিয়ে রায়েন্দা ঘাটে আসেন এবং দুই এমপি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বলেশ্বর নদীতে মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ও শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ফেরি চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ।
সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত, শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ, শরণখোলা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন ও মঠবাড়িয়া-শরণখোলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এই ফেরি চলাচল উদ্বোধনের খবরে মাছুয়া-রায়েন্দা ফেরিঘাটে জড়ো হয় শতশত উৎসুক জনতা ।
এই ফেরি সার্ভিস চালুর ফলে দুই আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলা ও পায়রা’র সাথে সড়ক দূরত্ব কমে যাবে ৭০ কিলোমিটার। বাঁচবে সময় ও অর্থ। সংশ্লিষ্টরা বলছে, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর কয়েক কোটি মানুষ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এই ফেরি সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এই ফেরি সার্ভিস চালুর ফলে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জসহ পিরোজপুরের দক্ষিণ অংশসহ, মৎস্য বন্দর পাথরঘাটা, আলীপুর-মহিপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, পায়রা বন্দর থেকে মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও ঢাকার সহজ সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এই ফেরি সার্ভিস চালুতে দুই আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলা ও পায়রা’র সাথে সড়ক দূরত্ব কমে গেলো ৭০ কিলোমিটার। বাঁচবে সময় ও অর্থ দুটোই। এতে দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, তেমনি মেলবন্ধন সৃষ্টি হবে পিছিয়ে পড়া এই জনপদের মানুষের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন