জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহারের সাথে সাথে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিচ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় আটকে পরে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকারসহ অন্তত ৪ শতাধিক যানবাহন। যার মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
এছাড়াও দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে ব্রাক সেন্টার পর্যন্ত আরো চার কিলোমিটার এলাকায় পারের অপেক্ষায় আটকে পরে অন্তত ৪ শত পণ্যবাহী ট্রাক। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছে যাত্রী ও চালকেরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিটি যানবাহনকে ফেরির নাগাল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে থাকতে হচ্ছে কমপক্ষে একদিন।
এদিকে সড়কের খোলা আকাশের নিচে থেকে খাবার, গোসল ও টয়লেট সমস্যায় পড়ছেন ট্রাক চালক ও তার সহকারীরা। সময় মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে বেড়ে যাচ্ছে পরিবহন খরচের পাশাপাশি চালকদের খরচ। এ সময় সড়কের ওপর শুয়ে বসে অলস সময় পার করছেন ট্রাকের চালক ও সহকারীরা। এদিকে ভোগান্তি কমাতে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করলেও দিনের পর দিন অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক গুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সড়কে।
ট্রাক চালক ইকরাম সরদার ও আমিনুল ইসলাম জানায়, তারা গত সোমবার এসে গোয়ালন্দ মোড়ের সড়কে আটকে পড়েছেন। এখান থেকে ঘাট প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে। ফেরি পেতে চার থেকে পাঁচ দিন লাগতে পারে। এভাবে থেকে তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো গোসল টয়লেট, খাওয়া দাওয়াও করতে পারছেন না। সিরিয়ালে শতশত ট্রাক রয়েছে।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন জানান, ধর্মঘট প্রত্যাহারের সংবাদ পেয়ে দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন ঘাটের দিকে ছুটছে। যে কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের লম্বা সাড়ি তৈরি হয়েছে। তিনি আরো জানান, ভোগান্তি কমাতে যাত্রীবাহী বাস ও পচন পণ্যবাহী ট্রাককে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে এই নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে একটি নষ্ট, আর আমানত শাহ ডুবির কারনে বন্ধ বাকি ১৭টি ফেরি দিয়ে চলছে পারাপার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন