যশোরে ইজিবাইক চালককে গলাকেটে হত্যা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহ নামে এক ইজিবাইক চালককে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আব্দুল্লাহ সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মোজাদাদুজ্জামানের ছেলে এবং যশোরে মুসলিম এইড ইনস্টিটিউটের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে পেরেছে। উদ্ধার হয়েছে ছিনতাই করা ইজিবাইকটি। এছাড়া একটি চাকু ও নিহতের মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসিবুর রহমান হাসিব নামে এক যুবককে আটক করেছে। হাসিব সদর উপজেলার তফর নওয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গণির ছেলে। আর হাসিবের সঙ্গি আরিফ হোসেন পলাতক রয়েছে। আরিফ শহরের পূর্ববারান্দী নাথ পাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে।
গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সে ইজিবাইক নিয়ে বের হয়। তার মাকে সন্ধ্যার সময় ডাক্তার দেখানোর কথা ছিলো শহরে। বিকেলে তার মোবাইলে ফোন দিলে সে যাত্রী নিয়ে ঝিকরগাছার গদখালীতে যায়। সন্ধ্যার দিকে সে ফিরে আসে এবং ঘুরুলিয়া সাদ্দামের মোড়ে আবস্থার করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সে বাড়ির দিকে রওনা হয়। কিন্তু আর ফেরেনি। রাত ১০টা পর্যন্ত না ফেরায় বাড়ির ও এলাকার লোকজন খোঁজখবর নিতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘুরুলিয়া থেকে ছোট গোপালপুর যেতে বেলের মাঠ নামকস্থানে রাস্তার পাশে রাতে লাশটি দেখতে এলাকার লোকজন। পরে পুলিশে সংবাদ দেয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে আব্দুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিল।
রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাসিবুর রহমানকে আটক করে। সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার সঙ্গী আরিফ পলাতক রয়েছে। পুলিশ আরো জানিয়েছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হাসিব ও আরিফ ঘুরুলিয়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। সুলতানপুরে যাওয়ার কথা বলে আব্দুল্লাহর ইজিবাইকটি ভাড়া করে। বেলের মাঠে পৌঁছালে আরিফ প্রথমে আব্দুল্লাহকে মারপিট করে। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে দুইজনে মিলে আব্দুল্লাহর গলাকেটে লাশ ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। আসামি হাসিব একটি কসমেটিকসের দোকানের কর্মচারী আর আরিফ পাইপ মিস্ত্রি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন