শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনার কারণে ৮ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য পেল বিশ্ব

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:২৩ পিএম

কোভিড-১৯ মহামারি এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে মোট আট কোটি টন প্ল্যাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়েছে। যার মধ্যে ২৫ হাজার টন প্ল্যাস্টি বর্জ্য ইতিমধ্যেই সমুদ্রগর্ভে প্রবেশ করেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর এই গবেষণা জানাচ্ছে, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ কোভিড প্ল্যাস্টিক বর্জ্য আর্কটিক সাগরে বর্জ্যের ঢিপি তৈরি করে ফেলবে। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন গবেষণকরা। আর এই বর্জ্যের কারণ মূলত মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্ল্যাস্টিক বর্জ্য জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বড় দুশ্চিন্তার কারণ। তার মধ্যে কোভিড পরবর্তী সময়ে প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায়, পৃথিবীতে প্ল্যাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ক্রমশ চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং সান দিয়াগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সমুদ্রগর্ভে জমতে থাকা প্ল্যাস্টিক বর্জ্য চিহ্নিতকরণে একটি নতুন পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করেছেন। এই বর্জ্যের ঠিক কতটা প্রভাব পড়ছে তা জানার জন্য এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন তারা। ২০২০ সালে মহামারী পর্ব শুরু থেকে ২০২১ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত এই বর্জ্যের পরিমাণ যাচাই করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ বর্জ্য তৈরি হয়েছে এশিয়া মহাদেশ থেকেই।

গবেষকদের অনুমান, মূলত হাসপাতাল থেকেই এই বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে। সান দিয়াগোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক আমিনা স্কারতুপের কথায়, ‘বর্জ্য পরিমাপ করতে গিয়ে এর মোট পরিমাণ দেখে আমরা চমকে উঠেছিলাম। এই বর্জ্যের বেশিরভাগ এসেছে এশিয়ার নানা দেশ থেকে। যদিও এশিয়ার সমস্ত দেশে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত ছিল না। বরং ইউরোপ তার থেকে বেশি ভুগেছে।’ তার আরও সংযোজন, 'বেশিরভাগ বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে হাসপাতাল এলাকা থেকে। এমনিতেই এশিয়ার দেশগুলি বর্জ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খাচ্ছে। তার উপর কোভিড বর্জ্য সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’

প্ল্যাস্টিক মডেল নিয়ে কর্মরত চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়াংসু ঝাং বলেন, ‘এই মডেলের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি কী ভাবে বর্জ্যগুলি সমুদ্রের পানিতে গিয়ে পড়ছে। তারপর কী ভাবে সেগুলো সমুদ্রের পানিতে ভাসতে ভাসতে সূর্যের আলোতে শুকিয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তীতে সমুদ্রের জলে বর্জ্যের ঢিপি তৈরি করছে। নদী থেকে এই বর্জ্যগুলি সমুদ্রে বেশি আসছে।’

জানা গিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলিতে থেকে সমুদ্রে মিশেছে ৭৩ শতাংশ বর্জ্য। ইউরোপের দেশগুলিতে থেকে মিশেছে ১১ শতাংশ। দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তনের জেরে এমনিতেই আর্কটিক অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তিত হয়েছে। তার উপর সমুদ্রপৃষ্ঠে মিশে যাওয়া বর্জ্যের জেরে ইকোসিস্টেমে সম্পূর্ণরূপে বদলে যেতে পারে। সূত্র: সি নেট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন