প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কোকে রিমোট লার্নিং এবং অনলাইন শিক্ষাকে বৈশ্বিক জনসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করার আহবান জানিয়েছেন। কারণ অনলাইন শিক্ষা কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন একটি ‘নতুন স্বাভাবিক’ হিসেবে বিকশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি চলাকালীন সংস্থান এবং প্রযুক্তির অভাব স্কুলে ভর্তির সাক্ষরতার হার এবং যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের শেখার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েক দশকের অর্জনকে বিপন্ন করে তুলেছে। রিমোট লার্নিং এবং অনলাইন এডুকেশনকে বিশ্বজনীন সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আমি এ আগস্ট বডিকে (ইউনেস্কো) আহবান জানাই।
গতকাল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলনে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহবানজানান। তিনি ইউনেস্কোকে সরকার, বেসরকারী খাত এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে অংশীদারিত্ব এবং সম্পদের সমাবেশ করার জন্য অগ্রাধিকারের বিষয় হিসাবে কাজ করার আহবান জানান।
মহামারি কষ্টার্জিত অর্জনগুলোকে ক্ষুণু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় ত্রæটি প্রকাশ করেছে। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী আংশিক বা সম্পূর্ণ স্কুল বন্ধে প্রভাবিত হয়। অনলাইন শিক্ষা মহামারি চলাকালীন একটি ‘নতুন স্বাভাবিক’ হিসাবে বিকশিত হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, তবুও, এটি একটি নতুন বিভাজনও প্রকাশ করেছে।
শেখ হাসিনা অবশ্য বলেছেন, ডিজিটালাইজেশন উন্নত পরিষেবা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাড়িয়েছে, তবে ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু এবং ঘৃণাত্মক বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ডিজিটাল সরঞ্জাম এবং প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
ইউনেস্কোর মতো বিশ্ব সংস্থাগুলোকে এ সমস্যাটির সমাধানে কাজ করা উচিত উল্লেখ করে বলেন, এটি সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবহাওয়া পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের আরো অনেক দেশের জন্যই একটি প্রাণঘাতী বাস্তবতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন