যশোরের অভয়নগরে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বইগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ধোপাদী দপ্তরীপাড়া শহিদুল্লাহ দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নেয়া হয়েছে। সরেজমিনে ওই মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায়, মূল ভবনের সামনে প্রথম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম, নৈতিক শিক্ষা, কৃষি শিক্ষাসহ আরো অন্যান্য বিষয়ের বই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পাশে একটি ওজন পরিমাপের ডিজিটাল মেশিনও রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে গতকাল কথা হলে তিনি বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে যান। উদ্ধার করা বইগুলোর মধ্যে ২০১৯ ও ২০ সালের বিভিন্ন শ্রেণির নতুন বই রয়েছে। আনুমানিক সাড়ে ১২ মণ ওজন হলেও বইগুলোর প্রকৃত সংখ্যা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। জব্দকৃত বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার নতুন বইগুলো ওজন করে একটি নছিমনে ভর্তি করা হচ্ছিল। এসময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরীর নেতৃত্বে এলাকাবাসী প্রতিরোধ করলে নছিমন চালক ও মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী বইগুলো ফেলে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ দপ্তরী বলেন, এই মাদরাসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা সর্বমোট ৩০ জন। এখানে এত বই কিভাবে দিয়েছে সরকার। এই চক্রের সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল্লাহ, সুপার, সহকারী সুপারসহ শিক্ষকমণ্ডলীর মিলিত সিদ্ধান্তে বইগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শহিদুল্লাহ মুঠোফোনে জানান, তিনি বই বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না। মেয়ের অসুস্থতার কারণে এলাকার বাইরে রয়েছেন। যদি শিক্ষকরা জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক পর্যায়ে তিনি বইগুলো পুরাতন ও ব্যবহৃত বলেও দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন