শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মুখে শ্রীমঙ্গলে রেলের ভূমি উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। রেল বিভাগ কর্তৃক ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জমি উদ্ধারে মাঠে নামলেও কিছু টং দোকান ছাড়া বেশির ভাগ বেদখল জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করেই অভিযান শেষ করেছে। জানা গেছে গত সোমবার পূর্ব নির্দ্ধারিত সময়ে সকালে রেলের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তারা লোকবল নিয়ে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন এলাকার অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এসময় রেল লাইন সংলগ্ন বেশ কিছু টং দোকান উচ্ছেদ করে। দুপুরে ভানুগাছ সড়কের সম্প্রতি দখল করা রেলের প্রায় সোয়া ৩ একর ভূমি উদ্ধারে অভিযানে নামলে মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সরি প্রকল্পের ব্যানারে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বাঁধা দেয়।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, রেল বিভাগের শ্রমিকরা বাঁধা উপেক্ষা করে কৃষি নার্সারী প্রকল্প উচ্ছেদ করতে সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেললে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতÐা ও পরে ধস্তা-ধ্বস্তি শুরু হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় ভানুগাছ রোড ও রেলগেট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে বাক-বিতÐা চলাকালে কতিপয় লোকজন দখলকৃত জমির প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্য প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাঁধার মুখে পড়ে রেল বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে লাল নিশানা লাগিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে চলে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগীয় এস্টেট অফিসার এসএম রেজাউল করিম দৈনিক ইনকিলাব’কে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কৃষি নার্সারী প্রকল্প নামে যে আবেদন করে সেই আবেদনটি রেল কর্তৃপক্ষ বাতিল করে দেয়, যেহেতু এটা বানিজ্যিক এলাকা এখানে কৃষি-খামারের জন্য জমি লীজ দেওয়া হবে না। আমরা সরকারের জায়গা উচ্ছেদ করতে এসে অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মুখে পড়েছি। আমাদের শ্রমিকদের মারধর করা হয়েছে। তবে রেলের বেদখল জমি উদ্ধার অভিযানের পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বেদখল জমির সীমানা চিহ্নিত করে লাল ঝান্ডা লাগানো হয়েছে। এই জমি উদ্ধারে পরবর্তী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন