‘স্বাধীন বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়, দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল। বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তা টিকিয়ে রাখতে আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রে সে সংগ্রামের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’ ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংস্থা তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে আলোচনা সভায় গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
তারা আরো বলেন, প্রচারিত প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ১৯০৫ সালের পূর্বতন বিশাল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভেঙে ঢাকা রাজধানীসহ পূর্ববঙ্গ ও আমার নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হলে কলকাতা প্রবাসী জমিদাররা পূর্ববঙ্গে তাদের জমিদারিতে তাদের প্রভাব হ্রাসের আশঙ্কায় এর বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন সৃষ্টি করে বসেন। ফলে মাত্র ছয় বছরের মাথায় সরকার বঙ্গবঙ্গ রদ ঘোষণা করেন। আর বঙ্গভঙ্গ হওয়ায় দীর্ঘ অবহেলিত পূর্ববঙ্গের উন্নয়নের কিছুটা সুযোগ হয়।
আন্দোলনকারীরা তখন এমনও ঘোষণা করেন, বঙ্গভঙ্গ বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদের মতো পান। অথচ তাদের উত্তরসুরিরাই সাতচল্লিশে বাংলা বিভাগের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তাদের এক নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী তখন ঘোষণা করেন, ভারত ভাগ না হলেও বাংলা ভাগ হতেই হবে। নইলে বাঙালী হিন্দুরা চিরতরে বাঙালী মুসলমানের গোলাম হয়ে যাবে। তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান ভাষাসৈনিক ও সাংবাদিক অধ্যাপক আবদুল গফুর। অন্য যারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল আউয়াল ঠাকুর, বিশিষ্ট গবেষক ও ইতিহাসবিদ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সাংস্কৃতিক সংগঠক এম এ হান্নান, সঙ্গীতশিল্পী গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান (বাচ্চু), খন্দকার রফিকুল আলম, এমদাদুল হক চৌধুরী, তাওহিদ খান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন