রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

জাপানি ৩ শিশুর বিষয়ে রায় পেছালো

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:১১ পিএম

জাপানি তিন শিশুর দায়িত্ব মা ডা. এরিকো নাকানো নাকি বাবা ইমরান শরীফ পাবেন, সে বিষয়ে রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ নভেম্বর ধার্য করেছে হাইকোর্ট। রোববার (১৪ নভেম্বর) এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির এতথ্য জানান। তিনি জানান, গত ৩১ অক্টোবর শুনানি শেষ ১৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু আজকের কার্যতালিকায় দেখা যায় ওই রায়টি হবে আগামী ২১ নভেম্বর।

তথ্য মতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো (৪৬) ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে ৩টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তারা হলো- জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) ও সানিয়া হেনা (৭)। তারা টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।

এরপর ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইমরান তার স্ত্রী এরিকোর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের (ডিভোর্স) আবেদন করেন। এরপর ইমরান সন্তানদের নিজের জিম্মায় রাখার চেষ্টা করলে এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। কিন্তু স্ত্রীকে না জানিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত এরিকোর অনুকূলে জেসমিন ও লিনার জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেন। পরে ছোট মেয়ে সানিয়া হেনাকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আদালত গুলশানে একটি ভাড়া বাসায় সবাইকে আলাদা কক্ষে বসবাসের অনুমতি দেন। পাশাপাশি সমঝোতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। কিন্তু উভয়পক্ষের আইনজীবীরা কয়েকবার বৈঠকেও সমঝোতায় আসতে পারেনি। সর্বশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মেয়েরা এরিকোর সঙ্গে গুলশানের বাসায় থাকার আদেশ দেন। আর বাবা ইমরান শরীফ দিনের বেলা তাদের সঙ্গে দেখা ও সময় কাটাতে পারবেন।

এরমধ্যে জাপানে থাকা ছোট মেয়ে হেনাকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন ইমরান শরীফ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৪ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৪৭ পিএম says : 0
মা বাবা এই কেমন মা বাবা এই বাচ্চা গুলির দিকে তাকিয়ে এরা আবার সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে,এরা কি চিরদিন দুনিয়ার জমিনে থাকবে না কি,আমরা আশা করবো এরা আবার ঘর সংসার করবে,এবং এই মেয়ে গুলিকে মা বাবা থেকে বঞ্চিত হতে দেবে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন