বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তারের অবহেলা রয়েছে কি না-তা খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সাঈদা নাসরিন বাবলী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক। হাইকোর্ট তার নির্দেশে একজন জেলা জজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের গঠিত কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয়-এমন একজন ডাক্তার এবং একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। কমিটি গঠনের পাশাপাশি আদালত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন।
রিটের পক্ষের কৌঁসুলি ব্যাস্টিার মো. মনজুর নাহিদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রিটে সাঈদা বাবলীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কয়ার হাসপাতালের কাছে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সাঈদা নাসরিন বাবলীর স্বামী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেছিলেন, ২০ জুন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাবলী। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হন তিনি। ৫ জুলাই আইসিইউতে ব্রেন স্ট্রোক করলে অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। এরপর ৭ জুলাই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বাবলী ৩২তম বিসিএসে এডুকেশন ক্যাডারেও প্রথম স্থান অর্জন করেন।
এ মৃত্যুর ঘটনায় তার শিশুপুত্র বর্ণভ রিটে করেন। শিশুটির মামা গোলাম হাফিজ তার ‘লিটিগেশন ফ্রেন্ড’। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। সরকারের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন