বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিযোগীতামূলক থাকার জন্য প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৫১ পিএম

“এআই এন্ড রোবোটিকস: গ্লোবাল ইমপ্লিকেশন অফ আর্টিফিসিয়াল ইনটেললিজেন্স” শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে উৎপাদনশীলতা ও মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি, সরঞ্জাম এবং সফটওয়্যারের ব্যবহার একটি মূখ্য ভূমিকা পালন করছে।
আলোচনায় অন্যান্য প্যানেলিষ্টদের মধ্যে ছিলেন আরিয়ান এম কবির, কো-ফাউন্ডার ও সিইও, গ্রেম্যাটার রোবোটিকস ইনকর্পোরেট; প্রফেসর ড. জেনসি ক্যাপি, হোসেই ইউনিভার্সিটি, জাপান এবং ড. প্যাট্রিক মেইয়ার, কো-ফাউন্ডার ও সিইও, উইরোবোটিকস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস এন্ড মেকাট্রোনিকস ইঞ্জিনিয়ারীং বিভাগের প্রফেসর ড. লাফিফা জামাল সেশনটি সঞ্চালনা করেন।

ওয়েবিনারটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন (ডব্লিউসিআইটি ২০২১) এর অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়। উল্লেখ্য, ১১-১৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ৭৫টির অধিক দেশের বিশেষজ্ঞগন অংশগ্রহন করেন।

ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন শুধুমাত্র যে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য তা নয়, বরং ব্যবসাকে টেকসই করার জন্যও এটি অপরিহার্য। “পানি, জ্বালানী এবং অন্যান্য সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। সাসটেইনিবিলিটি এবং ডিজিটাইলেজেশন একটি আরেকটির সাথে যুক্ত এবং ব্যাপকভাবে একে অপরের পরিপূরক।”

তিনি অভিমত প্রকাশ করেন যে অটোমেশন ও প্রযুক্তি আপ-গ্রেডেশন কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। কারন, একটি পোশাক তৈরি করতে যে প্রক্রিয়াগুলোর প্রয়োজন হয়, সেগুলো মেশিন দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, “বরং এটিকে আমরা একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি। কারন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যদি আমরা দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে পারি, ব্যয় কমিয়ে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে পারে ও লীড টাইম কমাতে সক্ষম হই, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমাদের ব্যবসা বাড়বে, যার অর্থই হচ্ছে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি”।

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, “আমাদের উচিত নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের সঠিক দক্ষতাসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা। কর্মীদের দক্ষতা ঘাটতি পূরন করে ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিনত করে শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। এতে করে শিল্প আরও প্রতিযোগী হবে এবং শিল্পে মানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন