টাঙ্গাইলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হাতে হামলার শিকার হয়েছেন রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরসহ গণ-অধিকার পরিষদের নেতারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বপ্ন যিনি দেখিয়েছে সেই মাওলানা ভাসানীর জন্মদিনে কোনো আয়োজন নেই। আজকে দেশের রাজনীতি থেকে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু চলে গেছে গুটিকয়েক মানুষের হাতে। শুধুমাত্র এক লোকের ইতিহাস আমাদের দেখানো হয়, শুধুমাত্র এক দলের ইতিহাস আমাদের দেখানো হয়। মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মত লোকদের ইতিহাস আজকে তরুণ সমাজ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। আজকে এই তরুণ সমাজ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে জেগে উঠেছে। তাই তো মাওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করতে গিয়েছি আমরা। কিন্তু সেখানে আমাদেরকে বাধা দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, ভাসানীর কবর জিয়ারত করলে কী এমন হতো? তার শাসনব্যবস্থা তো আর কায়েম হয়ে যেত না! কতটা ভীতু ও নির্লজ্জ হলে এমন কাজেও হামলা করতে পারে ছাত্রলীগ-যুবলীগ? তারা (পরিষদ নেতারা) যদি সেখানে কবর জিয়ারত করতে পারত তাহলে কী আহামরি কিছু হয়ে যেত? এই সরকারের পতন হয়ে যেত? হতো না। " কিন্তু তারা ভয় পেয়েছে ; কারণ সবসময়ই ফ্যাসিবাদী শক্তি গণতান্ত্রিক শক্তিকে ভয় পায়। আপনারা যারা মনে করছেন যে, ছাত্রলীগ দিয়ে গণতান্ত্রিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা করে থামিয়ে দিবেন, আপনারাও ভুল করছেন। আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না।
পরিষদ নেতা শৌরভ হোসেন বলেন, আমরা চাইলে ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তাদের মতো অপরাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। তাদের মতো অপরাজনীতি চর্চা করি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন