শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় হাতি হত্যায় প্রথমবারের মতো চার জনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ ধারায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। এ মামলার মাধ্যমে হাতি হত্যার কারণও উদঘাটন হবে বলে আশা করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।
দেখা যাচ্ছে গারো পাহাড়ে একদিকে যেমন হাতির আতঙ্কে মানুষ, তেমনি হাতিও আছে মানুষের আতঙ্কে। হাতির আশ্রয়স্থলে গড়ে উঠেছে মানুষের বসতবাড়ি। আশ্রয় ও খাদ্যের সন্ধানে তাই ফসলের ক্ষেত এবং বাড়িঘরে হাতি ঢুকে পড়লে শুরু হচ্ছে হাতি-মানুষে লড়াই। এতে হাতি যেমন মানুষকে মারছে তেমনি মানুষও নির্বিচারে হত্যা করছে হাতিকে।
নানা সময় বিভিন্ন উপায়ে হাতিকে মারা হলেও এর মূল কারণ অধ্যবদি পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র ময়না তদন্ত করে দায় সারাগোছের রিপোর্ট দিয়েই দায়িত্ব সেরেছে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সর্বশেষ ১১ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের মালাকুচা এলাকায় কারেন্টে সংযুক্ত জিআই তারের বেড়ায় আটকে একটি হাতির মৃত্যু হলে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ আসতে থাকে। ফলে বন বিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ঘটনার তদন্ত করেন ও মৃত হাতিটির সুরতহাল রিপোর্ট করেন। এতে বিদ্যুতায়িত তারে জড়িয়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রথমে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (ডায়েরি নং ৪৪৫/১১-১১-২০২১) করা হয়। পরে বন আইনে মালাকুচা এলাকার মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে আমেজ উদ্দিন ও সমেজ উদ্দিন, মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আশরাফুল ও হাতেম আলীর ছেলে শাহজালালের বিরুদ্ধে একটি মামলা ( মামলা নং- ১০/সদর, ১২/বালি, অব-২০২১-২০২২) দায়ের করা হয়।
এব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, পাহাড়ে নির্বিচারে বন ভূমি দখল করে সবজির বাগান করায় জঙ্গল না পেয়ে হাতি লোকালয়ে চলে আসছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও মানুষের হাত থেকে হাতির উতপাত বন্ধ করতে পারছি না। বন্য হাতিটিকে বৈদ্যতিক জিআই তার দিয়ে মেরে ফেলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন