প্রতি বছর জিংকের অভাবে ৩৬ ভাগ শিশু ও ৫৭ ভাগ মহিলা অপুষ্টিতে ভুগছে। পাশাপাশি ৪৪ ভাগ কিশোরী জিঙ্কের অভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে। হারভেস্ট বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা জিঙ্ক সম্পৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের উপর গুরত্ব দিচ্ছেন। জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদনের মাধ্যমেই পুষ্টির চাহিদা পূরণ সম্ভব। গতকাল যশোরে হারভেস্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। শহরের ব্র্যাক টার্ক সেন্টারে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কৃষি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও গবেষকরা অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, জিঙ্ক সমৃদ্ধ দুটি জাতের ধান দেশে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আরো একটি জাতের ধান শিগগির কৃষক পর্যায়ে পৌঁছাবে। যশোর অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ ও ব্রি-৮৪ জাতের ধানের চাষের আগ্রহ বেড়েছে। আরো একটি জিঙ্ক সমৃদ্ধ নতুন জাতের ধান শিগগির কৃষক পর্যায়ে পৌঁছাবে। সেটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু-১০০। এই ধান ১৪৮ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। এই ধানের চালে প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৭ মিলি গ্রাম জিঙ্ক আছে। প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) ফলন হয় ২৬ মণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন