রংপুরের বদরগঞ্জে এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু (৪১) নামে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ আদেশ প্রদান করেন। এসময় আদালতে আসামি মনোয়ারুল উপস্থিত ছিলেন। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর সুগার মিলস হাইস্কুলের শিক্ষক এবং রংপুর সদরের পুটিমারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জের শ্যামপুর সুগার মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠু ২০২০ সালের ৩০ জুন ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুসলিয়ে স্কুলে নিয়ে যান। এ সময়ে স্কুলে অন্য কোনো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত না থাকায় মনোয়ারুল ইসলাম তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সাতদিন পর ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আরিফ আলী ওই বছরের ৩১ আগস্ট শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার শুনানীতে ১৪ জন সাক্ষী এবং ৫ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক এই রায় দেন।
রায়ে আসামি মনোয়ারুল ইসলাম মিঠুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ছাড়াও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ডের টাকা ধর্ষিতা ছাত্রীকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বিজ্ঞ বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে শিক্ষক কর্তৃক এ ধরনের ধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় বলে জানান।
মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী পিপি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে মিথ্যা কথা বলে আসামী মনোয়ারুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে স্কুলে ডেকে এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা আদালতে মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে পেরেছি। একই সঙ্গে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন