শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আবারো শুরু বন্যহাতির তা-ব চলতি মাসেই ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইগাতীতে চলছে হাতি-মানুষে যুদ্ধ!
এস কে সাত্তার. ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : গত ১ মাস যাবৎ ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে আবারো শুরু হয়েছে ভারতীয় বন্যহাতির লাগাতার তা-ব। ৩৫-৪০টি ভারতীয় বন্যহাতির পাল গারো পাহাড়ে চলতি মাসেই পায়ে পিষিয়ে হত্যা করেছে ১০ বনি আদম সন্তানকে। পাহাড়ি এলাকার কমপক্ষে ১০ গ্রামের মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। চলছে হাতি- মানুষের যুদ্ধ! গোটা গারো পাহাড়জুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১১০১ নং পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে চলেছে।
তাছাড়া ভারতীয় বন্যহাতির পাল ঝিনাইগাতী গারো পাহাড় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাজুড়ে ভারত অত্যন্ত শক্তিশালী কাঁটাতারের বেড়া দেয়ায় বাংলাদেশের ঝিনাইগাতী গারো পাহাড় এলাকায় আটকে পড়েছে ভারতীয় ৩০-৪০টি বন্যহাতির পাল। হাতির পালটি গোটা শেরপুরের সীমান্ত অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছে। খেয়ে সাবাড় করছে পাহাড়ি এলাকার আমন ফসলের মাঠ। নিয়মিত হত্যা করে চলেছে মানুষ। ফলে চরমভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ!
এছাড়াও সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় ফসল রক্ষা করতে না পেরে চরম অসহায় হয়ে পড়েছে কৃষক। এককথায় ভারতীয় বন্যহাতির সাথে বলতে গেলে যুদ্ধ করেই বেঁচে আছে গারো পাহাড়ের বাংলাদেশী সীমান্তবাসী। হাতির পায়ে পিষ্ট হযে একের পর এক মানুষ মারা গেলেও হাতি তাড়াতে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। ফলে মানুষের অসহায়ত্ব দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এ যুদ্ধ এখন নিত্যদিনের ঘটনা।
হাতির পালটি বর্তমানে গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতীর গজনী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী, বক্সিগঞ্জসহ গোটা গারো পাহাড় চষে বেড়াচ্ছে এবং ধ্বংস করে চলেছে আমন ক্ষেত। আজ এই এলাকা তো কাল অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে বন্যহাতির পাল। খেয়ে সাবাড় করছে ক্ষেতের ফসল। ধ্বংস করছে বাড়িঘর এবং ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে চলেছে মানুষের জান-মালের। পাহাড়ি এলাকার লোকজন ক্ষেতের ফসল রক্ষার্থে ভূগা-মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। হাতির আক্রমণে মারাও যাচ্ছে অনেকে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের সাথে এ প্রসঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুতায়ন করা প্রয়োজন। কারণ হাতি আলো বা আগুন দেখে ভয় পায়।
ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা জানান, গারো পাহাড়জুড়ে হাতির যে তা-ব শুরু হয়েছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। গত ক’বছরে ভারতীয় বন্যহাতি মানুষের জান-মালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। চলতি মাসেই ১০ জনের প্রাণহানিও ঘটেছে। সুতরাং বিষয়টি ছোট করে দেখলে চলবে না। তবে ভারত সরকার করিডোর খোলা রাখলেই হাতি ভারতে চলে যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা বলেন, এখন সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুতের তার দিয়ে বেড়ার মতো করে রাখা হয়েছে। হাতি এলেই কারেন্টের শখের কারণে হাতি আর আক্রমণ করতে পারবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন