আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সঠিকটা জানলে আমার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিতেন না। আমি রিভিউ করবো। নেত্রীকে ভুল বুঝানো হয়েছে। ভুল মেসেজ দেয়া হয়েছে। আমার বক্তব্য নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার তিনি নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ। আমার কিছু কথা কেটে কেটে উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। আমার কথা নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমি নেত্রীর কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো।
মেয়র জাহাঙ্গীর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়েছে বা ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। তিনি সঠিকটা জানলে হয় তো কোন দিনই এ ব্যবস্থা নিতেন না। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, দলের কোন পদে নয় আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে আমি থাকতে চাই।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধাদের নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের তথ্য জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গত ৩ অক্টেবর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে জবাব দিতে বলা হয়। শোকজের জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর জেলা শাখার সহসভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন