দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে দেশের আলেম ওলামা, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও সর্বস্তরের মুসলমানদেরকে ইসলামের পক্ষে সম্পৃক্ত করার গুরু দায়িত্ব ওলামায়ে কেরামকে পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইসলামের নাম নিশানা মুছে দিতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। সমাজের প্রত্যেক সেক্টর অসৎ ও দুর্নীতিবাজরা দখল করে রেখেছে। স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহওয়ালা ঈমানদার আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল রোববার লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজুমিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক শুকরিয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর দ্বিতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এই শুকরিয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথির বয়ান করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান মিসবাহ কুয়াকাটা, জামিয়া ইসলামিয়া কলাকোপা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আলী, চরপাগলা মঈনুল ইসলাম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মনির আহমাদ, কলাকোপা মাদরাসার শিক্ষা সচিব মুফতী হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
শায়েখে চরমোনাই আরো বলেন, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নাগরিক মূল্যবোধকে ইসলামের আলোকে সাজিয়ে তোলাসহ আলেমদের ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে হিংসা-বিদ্বেষ ও পরস্ত্রীকাতরতা পরিহার করে উত্তম আখলাকের মাধ্যমে সবাইকে কাছে টানতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এদেশের আলেমদের জন্য একটি সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করেছে। ওলামায়ে কেরামের উচিত এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ জনবান্ধব আন্দোলনটি সফলতার দিকে নিয়ে যাওয়া। তাই সামনের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগকে খালি মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবেনা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীক নিয়ে সারাদেশের সকল স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানান দলটির এই শীর্ষ নেতা। জনগণ বুঝতে পেরেছে নৌকা-ধানের শীষের দিন শেষ, হাতপাখার বাংলাদেশ। তাই জনগণ হাতপাখার দিকে এগিয়ে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন