সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের দক্ষিন নুরুল্ল্যাহপুর এলাকায় গত শনিবার দিবাগত রাতে অস্ত্র ঠেকিয়ে নবম শ্রেণির মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় রাসেল ইসলাম, আরিফ হোসেন, শাওন ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও মোরশেদ আলমসহ ৫জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয়রা। আটককৃত সকলে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল রোবববার চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান, জাফরপুর ফাতেহা মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী লাকি আক্তার। দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা আসা-যাওয়ার পথে বসুদৌহিতা এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. রাসেল ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে মেয়েকে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেয় স্বজনরা। এর জের ধরে গত শনিবার রাসেলের নেতৃত্বে ১৫/১৬জনের একদল সন্ত্রাসী অপহরণের ঘটনা ঘটায়। শিক্ষার্থীর বাবা আলাউদ্দিন জানান, বাড়িতে অনেক মেহমান ছিল। রাতের খাবার শেষে সবাই চা খাচ্ছিলেন। সাড়ে ১০টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, অস্ত্রেরমুখে মেয়েকে অপহরণ করার সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও ধারোলা ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৫জনসহ ৯জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত রয়েছে তাদেকেও গ্রেফতারের অভিযান চলছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাদের জন্য আদালতে ৫দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন