দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সজীব হত্যা মামলার দুই আসামী শাকিল ও সবুজ র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার শান্তিপাড়া রেলগেটের নিকট র্যাব-৬ সদস্যরা মামলার আসামী দামুড়হুদা ব্রীজপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে শাকিল (১৮) ও চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ সিএন্ডবি পাড়ার সবুজ (১৭) কে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে শাকিল ও সবুজের সহযোগীরা র্যাব সদস্যদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে ক্রস ফায়ারে পড়ে শাকিল ও সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ঘটনার পর পরই র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১টি দেশী পাইপগান, ১টি দেশী রিভলভার, ২টি ধারালো অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। গত শুক্রবার ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ দামুড়হুদা উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শাকিল ও সবুজকে আটক করে। এরপর চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দুই জনই স্কুলছাত্র সজীব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ থারায় জবানবন্দী দেয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ জুলাই অপহরণকারীরা চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সজীবকে দামুড়হদা উপজেলা চত্বরের কৃষিমেলা থেকে অপহরণ করে তার পরিবারের নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা স্কুলছাত্র সজীবকে হত্যা করে চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ার একটি সেপটি ট্যাংকে ফেলে দেয়। গত ১ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও পুলিশ ওই সেপটি ট্যাংক থেকে সজীবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সজীবের পরিবার ৬ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ৬ জনের মধ্যে সবুজ ও শাকিল ছিল অন্যতম আসামী। এছাড়া গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ অপহরণ মামলার অপর এক আসামী রাকিব মেম্বর দামুড়হুদায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ দুইটি ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দু’টি তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন