মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ৬০০ বস্তা ডিএপি সার নিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলার ডুবে গেছে। আজ সোমবার ভোর ৬ টার দিকে উপজেলার কুচিয়ামোড়া ধলেশ্বরী ১ সেতুর নিচে নোঙর করে থাকা অবস্থায় অন্য ট্রলারের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি। এতে এতে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার সারের ক্ষতি হয়েছে দাবি সংশ্লিষ্টদের । এ সময় ট্রলারের মাঝিসহ ৩ জন স্টাফ সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয় ।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারের নুপুর এন্টারপ্রাজের ব্যবস্থাপক মো.বাদল মিয়া কুমিল্লার দাউকান্দি থেকে ৬০০ বস্তা(৩০ টন) সরকারী বরাদ্ধের সার নিয়ে সৈয়দপুরের উদ্দ্যেশ্যে ট্রলার করে রওনায় দেয়।উপজেলার কুচিয়ামোড়া আসলে রাত হয়ে যাওয়ায় ট্রলারটি ধলেশ্বরী ১ সেতুর নিচে নোঙর করে রাখা হয় ।
প্রত্যক্ষদর্শী কুচিয়ামোড়া বাজার শ্রমিক আনোয়ার হোসেন বলেন,ভোর ৬টার দিকে সারবোঝাই ট্রলারটি সেতুর নিচে নোঙর করা অবস্থায় ছিলো। সে সময় এ নৌপথ দিয়ে অন্য একটি ট্রলার যাওয়ার সময় সার বোঝাই ট্রলারটিকে ধাক্কা। এতে ট্রলারটি একপাশ কাত হয়ে ধীরে ধীরে পানির নিচে তলিয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করেও ট্রলারটি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারিনি। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি রশি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। যাতে ডুবন্ত ট্রলারটি অন্যত্র চলে না যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানান,আমরা ডিলার কর্তৃক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই। সার গুলো আমাদের নভেম্বর মাসের জন্য বরাদ্ধ ছিল।
নুপুর এন্টারপ্রাইজের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. বাদল মিয়া বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারে আমাদের ৬০০ বস্তা ডিএপি সার ছিল।যা দাম ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।ট্রলার ডোবার কারণে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। আমাদের সব সার গুলো সব নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম এবং উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.মোশারফ হোসেন।
উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.মোশারফ হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে ট্রলার উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছে। ২০-২৫ ফুট পানির গভীরে থাকায় সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকালে ডুবরি দিয়ে সার গুলো তোলা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন