শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা ‘উদ্ভাবন পিচ’ পুরস্কারে ভূষিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১০:১০ পিএম

পাটের সেলুলোজ-ভিত্তিক স্যানিটারি প্যাড উদ্ভাবন করে ৪র্থ বার্ষিক উদ্ভাবন পিচ প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড পুরস্কারে ভূষিত হলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফারহানা সুলতানা। তিনি আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সহকারী বিজ্ঞানী। আমেরিকান সোসাইটি ফর ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (এএসটিএমএইচ) নামের একটি সংস্থা এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) আইসিডিডিআরবির অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সংস্থাটি লিখেছে, আমরা এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে, আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী মিসেস ফারহানা সুলতানা, তার প্রস্তাবিত- টেকসই মাসিক স্বাস্থ্যের জন্য পাটের সেলুলোজ-ভিত্তিক স্যানিটারি প্যাড তৈরি জন্য একটি মেশিন উদ্ভাবনের জন্য ৪র্থ বার্ষিক উদ্ভাবন পিচ প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ড পুরষ্কার জিতেছেন। সংস্থাটির প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় ফারহানা সুলতানাকে ৫ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য ৫ম বার্ষিক উদ্ভাবন পিচ প্রতিযোগিতার বিচারক হবেন বলেও আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে।

পুরস্কার দেওয়া সংস্থাটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়, এ বছর উদ্ভাবন পিচ প্রতিযোগিতায় স্বল্প সম্পদের মাধ্যমে সংক্রামক রোগের জন্য আরও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম সরবরাহ ও এর ধারণাগুলোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মহামারি মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব হ্রাস করা।’ ফারহানা সুলতানা আইসিডিডিআরবির মাসিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মূল অনুসন্ধানকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে পাট দিয়ে প্যাড তৈরিতে এক প্রকল্পের জন্য ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৪ লাখ টাকা) মূল্যমানের পুরস্কার জিতেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ফারহানা গণমাধ্যমকে জানান, প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। ভারতের একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বাজারে বাণিজ্যিকভাবে যেসব স্যানিটারি প্যাড বিক্রি হয়, তাতে ৩ দশমিক ৪ গ্রাম প্লাস্টিক থাকে। জীবনব্যাপী একজন নারী প্যাড ব্যবহার করলে প্লাস্টিকের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ কিলোগ্রাম, যা মাটির সঙ্গে মিশে যেতে সময় লাগবে ৫০০ থেকে ৮০০ বছর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন