ঢাকার সাভারে অধিকাংশ বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেই রাজউকের বিধিমালা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে বাড়ি নির্মাণের সময় আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান ছাড়ছেন না অধিকাংশ বাড়ির মালিক।
ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার চেয়ে পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করলেও এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগেরই সুরাহা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগকারীরা উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছে।
গত ১৩ অক্টোবর “সাভারে বিধি না মেনে বহুতল ভবন তৈরী” শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সাভার পৌর কর্তৃপক্ষের।
জানাগেছে, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ৩নং ওয়ার্ডের বি-১১৯/৩ জালেশ্বর হোল্ডিংএ ১৩শতাংশ জমিতে একটি ৭তলা ভবনের উপর আবার একটি টিনসেড নির্মাণ করছেন সেলিম রেজা। ভবনটি সুপার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিধি না মেনে ভবন তৈরীর বিষয়ে সুপার ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সাভার পৌরসভায় লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দেন একাধিক ভুক্তভোগী। এবিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে পৌরসভার কাছে তথ্য চাওয়া হলে পৌরসভা থেকে সুপার ক্লিনিকের ভবনটির যে তথ্য ও নকশা সরবরাহ করা হয়েছে তাতে ভবন তৈরীতে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। এছাড়া পৌরসভার পরিদর্শন টিম ভবনটি পরিদর্শন করে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছেন। পরে ভবন মালিককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পৌরসভার উপস্থিত থাকার চিঠি দেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সাভার পৌরসভায় নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইমামের কক্ষে সুপার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ উপস্থিত হলে অভিযোগ নিরসন সেলের সভাপতি কাউন্সিলর মো: নজরুল ইসলাম পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, পরিদর্শন টিমের প্রতিবেদন দেখে ও পুনরায় ভবনটি তিনিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যরা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এছাড়া ভবন মালিককে এক মাসের মধ্যে ফায়ার সেপ্টির কাগজপত্র দাখিল ও এক্সিট গেইট খুলা রাখা ও অবৈধভাবে তৈরী বেইজমেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় পৌর কাউন্সিলর রমজান আহমেদ, সেলিম মিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভা থেকে দেওয়া অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবনে চারপাশ আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান ছাড়া হয়নি। নকশায় ভবনটির নিচ তলায় গাড়ি পাকিং থাকলেও সেখানে পাকিংএর ব্যবস্থা রাখা হয়নি। গাড়ি পাকিং এর স্থানে ফামের্সী ও ইমাজেন্সি বিভাগ করা হয়েছে। ভবনটির গুরুত্বপূর্ন ফটক তালাবদ্ধ করে রেখে সেখানে জেনারেটর বসানো হয়েছে। এক পাশের নিচ তলার ফ্লোর কেটে বেইজমেন্ট তৈরী করা হয়েছে। যা ভবনের জন্য ঝুকিপূর্ন।
এ প্রসঙ্গে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইমাম বলেন, সুপার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে আবারও নোটিশ করা হবে। এরমধ্যে যেসব অসংগতি পাওয়া গেছে তা সমাধান না করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন