উৎপাদন বন্ধ হয়ে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে সৈয়দপুর রেলওয়ে সেতু কারখানা। ১৮ একর জায়গাজুড়ে খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকার মূল্যবান সব উন্নত যন্ত্রপাতি। মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে কারখানায় উৎপাদিত শত কোটি টাকার যন্ত্রাংশ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে কিনতে হচ্ছে মালামাল, এতে লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে রেলের।
দেখে মনে হবে বিশাল এক বনাঞ্চল। ঘন জঙ্গলের নিচেই ঢাকা পড়ে আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার মূল্যবান আধুনিক সব যন্ত্রপাতি।
১৮৬৫ সালে সৈয়দপুরে ১৮ একর জায়গায় ব্রিটিশ সরকার গড়ে তোলে উপমহাদেশের প্রধান রেল সেতু কারখানা। এখান সবক'টি মেশিনই বিরল, বিশ্বের অনেক রেল কারখানাতে এখনো নেই এত আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। এখানকার উৎপাদিত মালামাল দিয়েই ২০১৫ সাল নির্মিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন রেলসেতু।
সারাদেশে রেলের প্রায় দুই হাজার সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো এখানে উৎপাদিত কয়েকশ' রকম যন্ত্রাংশ দিয়ে। এক দশক আগেও এখানে কাজ করত প্রায় ১ হাজার শ্রমিক। লোকবলের অভাবে পুরো ইয়ার্ড যেন পরিত্যক্ত বনাঞ্চল। নিথর পড়ে থেকে স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যাচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান ও ইংল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করা কয়েক হাজার কোটি টাকার আধুনিক মেশিনপত্র।
একইভাবে খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে শত কোটি টাকা মূল্যের কারখানায় উৎপাদিত মালামাল। সেতুর গার্ডার, তিস্তা ও পাকশি সেতু মালামাল, রেললাইন, ফুট ওভার ব্রিজ মালামাল দীর্ঘদিন পড়ে থেকে মরিচা ধরে মিশে যাচ্ছে মাটির সঙ্গে।
কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে সামান্যতম মেরামতের জন্য এখন বিদেশনির্ভর হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, আর এতে প্রতি বছর বাড়ছে রেলের খরচ জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলছেন কারখানাটি সচল হলে ব্যয় কমবে রেলের।
কারখানা বন্ধ থাকায় প্রতি বছর রেলকে শতকোটি টাকার যন্ত্রাংশ কিনতে হয় বিদেশ থেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন