শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

চট্টগ্রামেও বর্ণিল সাজ কাউন্সিলর ডেলিগেটরা ঢাকায় আসছেন আজ

প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বর্ণিল আলোর ছটা আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যের নগরী চট্টগ্রামেও ছড়িয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল উপলক্ষে বন্দর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি স্থানকে বর্ণিল সাজে সাজিয়েছে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ। নেতারা বলছেন, দলের সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে তার ঢেউ চট্টগ্রামেও আছড়ে পড়ছে। এই অঞ্চলের নেতাকর্মী সমর্থকেরাও এখন দারুণ উজ্জীবিত। সম্মেলনস্থলকে ঘিরে যে বর্ণিল আয়োজন তার কিছুটা এই মহানগরীতেও সঞ্চারিত হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আজ (শুক্রবার) রাতে ঢাকায় রওনা হচ্ছেন। কাউন্সিলর ডেলিগেটসহ এই অঞ্চলের কয়েক হাজার নেতা সম্মেলনে শরিক হচ্ছেন। তারা সবাই ঢাকা পৌঁছে কমলাপুর স্টেশনে সমবেত হবেন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা সম্মেলনে যোগ দেবেন।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক বলেন, দলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে জাতীয়ভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এর ঢেউ চট্টগ্রাম মহানগরীতেও সঞ্চারিত হয়েছে। তিনি জানান, দারুল ফজল মার্কেটে দলের নগর কার্যালয়সহ বিভিন্ন সড়ক দ্বীপে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এছাড়া কয়েকটি স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। নগর আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগরীর ১৭টি স্থানে আলোকসজ্জার কথা জানানো হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, অলঙ্কার মোড়, বহদ্দারহাট মোড়, ২নং গেইট, দেওয়ানহাট মোড়, লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড়, সিইপিজেড মোড়, সল্টগোলা ক্রসিং, নিমতলা বিমান চত্বর, আগ্রাবাদ মোড়, নিউ মার্কেট, লাভ লেইন, কাজীর দেউড়ি, জামালখান মোড়, চেরাগী পাহাড়, নগর ভবন চত্বর ও দলীয় কার্যালয়ে রাতে এই আলোকসজ্জা হচ্ছে। আলোর এ ঝর্ণাধারা চলবে আরও কয়েক দিন।
এদিকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ কয়েক হাজার নেতা অংশ নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় ১১১ জন করে কাউন্সিলর সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। মহানগর কমিটিকে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩৬ জন কাউন্সিলর অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা সবাই আজ রাতে বাস ও ট্রেনে ঢাকায় চলে যাবেন।
অন্য বছর মহানগরী থেকে ১১১ জন কাউন্সিলর সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এবার নগরীর ‘জনসংখ্যার ভিত্তিতে’ আগের বারের চেয়ে বেশি সংখ্যক কাউন্সিলর নিয়ে সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা আগেই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রকে।
নগরীর জনসংখ্যা বেড়ে যে ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে তার সপক্ষে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও কেন্দ্রে উপস্থাপন করা হয়। নগর কমিটি কমপক্ষে ১৬০ জন কাউন্সিলর চেয়েছিল। দলের গঠনতন্ত্রের ছয় ধারার ‘খ’ উপ-ধারায় প্রতি ২৫ হাজার জনসংখ্যার জন্য একজন করে কাউন্সিলর থাকার কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বন্দরনগরীর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। সে হিসেবে চট্টগ্রাম নগরী থেকে কাউন্সিলরের সংখ্যা হওয়ার কথা ২৪০ জন। তবে সেটা না হলেও অন্তত ৪০ লাখ জনসংখ্যার পুরনো হিসাব ধরলেও নগরী থেকে কাউন্সিলর হওয়ার কথা ১৬০ জন।
২০১২ সালে হওয়া দলের ১৯তম কাউন্সিলে নগরীর জনসংখ্যা ২৮ লাখ ধরে কাউন্সিলর করা হয় ১১১ জনকে। উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর সংখ্যা ১১১ জন করেই থাকছেন। উত্তর চট্টগ্রামের সাতটি এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলা নিয়ে যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ গঠিত। চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬০ জন কাউন্সিলরের পাশাপাশি ৫০০ ডেলিগেট সম্মেলনে যোগ দেবে। দুই জেলা থেকে ২২২ জন কাউন্সিলর এবং ১ হাজার জন ডেলিগেট অংশ নেবেন। এর বাইরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকার ওই বিশাল আয়োজন দেখতে যাচ্ছেন। সম্মেলন স্থলে প্রবেশের অনুমতি না পেলেও বাইর থেকে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক এ সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।
অপরদিকে সম্মেলনের ফল কাউন্সিলে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন নেতা কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের বিপ্লবী নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সভাপতি মÐলীর সদস্য হতে যাচ্ছেন বলে জানান তার সমর্থকরা। তরুণ আরও কয়েকজন নেতাকে কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে। বর্তমান পদে আছেন এমন কয়েকজন আবার বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান দলের নেতাকর্মীরা। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের সরকারি দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দৃষ্টি এখন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন