পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : পশ্চিম পটিয়ার কর্ণফুলীতে সঞ্চয় করা ও ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোস্যাইল অ্যাসেসিয়েশন অব সোসাইটি ‘সাস’ নামে এনজিও সংস্থা এঘটনা ঘটিয়েছে। বিগত চার দিন ধরে গ্রাহকরা এ এনজিও অফিস ঘেরাও করে রেখেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এনজিও অফিসে অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ অফিসটি ঘিরে রেখেছে।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নামে কোন সংগঠনের সরকারী রেজিষ্ট্রেশন নেয়া হয়নি। এ এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পটিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবুল হাশেম। এনজিও সংস্থাটির বিরুদ্ধে হয়রানির শিকার ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষে রিপন কুমার নাথ কর্ণফুলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, পশ্চিম পটিয়ার খোয়াজনগর আইয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজের পাশে বশির মেম্বারের বিল্ডিংস্থ নিচ তলায় সোস্যাইল অ্যাসেসিয়েশন অব সোসাইটি (সাস) নামে এনজিও সঞ্চয় করার ও ঋণ দেয়ার কথা বলে কয়েক শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে কৌশলে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করে। বিগত ১৬ অক্টোবর গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গ্রাহকদের ঋণের টাকা না দিয়ে অফিস বন্ধ করে উধাও হয়ে গেছে (সাস) এর কর্মকর্তারা। এসময় রুবী আকতার, মর্তুজা বেগম, রহিমা বেগম, জাকিয়া বেগম, পারভীন আকতার, জানু আকতার, রহিমা, হাসনা বানু, ছলমা আকতার, শানু, মামতাজ খাতুনসহ প্রায় ২০-২৫জন ভুক্তভোগী নারী এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঋণ দেয়ার কথা বলে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। বর্তমানে এনজিওটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে কর্ণফুলী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে এনজিওটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পটিয়া উপজেলা সমবায় অফিসার ইন্সপেক্টর মো. আজিম জানায়, খোয়াজনগর এলাকায় সোস্যাইল অ্যাসেসিয়েশন অব সোসাইটি (সাস) নামে কোন সমবায় সংগঠনের নামে রেজিষ্ট্রেশন নেই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোস্যাইল অসোসিয়েশন অব সোসাইটির অফিসের কর্মকর্তা বিপ্লবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সরেজমিনে অফিসে গিয়েও বন্ধ থাকায় কাউকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন