কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর বটতলা বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম চৌধুরী জানান, আমার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যার সময় আলোচনা করছিলেন। এমন সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর করে। আমার নেতা কর্মীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা গুলি চালায় এবং আমার কর্মী সমর্থকদের মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
তবে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম রকি জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন বটতলায় এসে তাদের কর্মী মাসুদকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। তারা লাভলু মাস্টার ও মাসুদের বাড়ি ভাঙচুর করে। সেখানে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এরপর উল্টো তারা আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে থানায় অভিযোগ দিচ্ছে। দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিক জানান, আমরা একটি গোলযোগের খবর শুনেছি। সেখানে দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। বিষয়টি তদন্ত করে তারপর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী? সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে সেখানে ইন্সপেক্টর জাবীদ হাসানকে নতুন ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে না থাকলেও উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন বিএনপি নেতারা। একইসঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। প্রায় দিনই কোনো না কোনো ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন