পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৪৩ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান গাজী (২৬) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পিরোজপুর নির্বাহী ম্যজিস্ট্রে মো. নাহিদ হাসান ও ডা. প্রীতম কুমার পাইক এর উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আহসান কবির লাশ উত্তোলন করেন।
গত ১১ অক্টোবর পৌর শহরের সবুজ নগর গ্রামের আউয়াল শরীফের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যান লাগানোর রডের সাথে ইমরানকে গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ।
এ ঘটনা থানায় মামলা না নেয়ায় নিহতের ভাই আব্দুল্লাহ গাজী বাদি হয়ে গত ১৮ অক্টেবর ৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারকি হাকিম মো. কামরুল আজাদ মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) কে তদন্তের আদশে দেন। ইমরান গাজী পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ছিলেন। সে পৌর শহরের সবুজনগর গ্রামের মৃত মান্নান গাজীর ছেলে।
মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী এড. নাসরিন জাহান জানান, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ইমরান গাজীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগে তার ভাই মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি। এমনকি আদালতের বহু আইনজীবীর কাছে গেলেও আব্দুল্লাহ আইনী সহায়তা পায়নি। পরে তার কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে আমি মামলা আদালতে উত্থাপন করি।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর আহসান কবির বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যজিস্টেট ও ডাক্তারের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যু রহস্য জানা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন