চিলমারী পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরির ভবনটি এখন ভ‚মি অফিসের দখলে। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলা ভ‚মি অফিসের ষ্টোর রুম হিসাবে ব্যবহার করছেন কর্তৃপক্ষ। ক্লাব ও লাইবে্িররটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত না করায় সচেতন মহলে বাড়ছে ক্ষোভ। লাইব্রেরির মালামাল, বই সরবরাহসহ তা উন্মুক্ত করার দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা ভ‚মি অফিস ও চিলমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন স্থানে চিলমারী সাধারণ পাঠাগার ও ক্লাবের ১৯৭৮ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহে আলম। ১৯৭৯ সালে মহকুমা প্রশাসক মনজুরুল ইসলামের উদ্যোগে চিলমারী পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরির ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উদ্বোধনের পর জাঁকজমকভাবে চললেও অব্যবস্থাপনা আর অবহেলার কারণে অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় ক্লাব ও লাইব্রেরি। পরবর্তীতে তা সংস্কার করা হলেও উপজেলা ভ‚মি অফিসের সীমানা প্রাচীরে দখল হয়ে পড়ে এবং বর্তমানে অফিসের ষ্টোর রুম হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জনসাধারনের জন্য নির্মিত পাবলিক ক্লাব ও লাইব্রেরিটি ভ‚মি অফিসের দখলে থাকায় বইপ্রেমিরা হতাশ হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, একসময় উক্ত স্থানে আড্ডা হতো, এলাকার বিভিন্ন বিষয় এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হতো, আবার অনেকে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতো। বেশকিছু শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, চিলমারীতে পাবলিক লাইব্রেরি আছে তা জানতাম না, এখন শুনলাম, আমরা চাই তা উন্মুক্ত করা হোক তাহলে আমাদের জন্য উপকার হবে।
ক্লাব ও লাইব্রেরি এখন অফিসের ষ্টোর রুম স্বীকার করে ভ‚মি অফিসের স্টাফরা বলেন, রুমগুলো পড়ে থাকায় তা আমরা ষ্টোর রুম হিসাবে ব্যবহার করছি। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন