পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন ভাকুর্তা ইউনিয়নের বির্তকিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। ইতোমধ্যে নয়া কৌশলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমানের সাথে তার সখ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউল হকের সাথেও তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিলো।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি ছবি ব্যাপক ভাইরাল হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আনোয়ার হোসেনের বিএনপি প্রীতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ সমস্ত কারণে তার নানা অপকর্মের তথ্য উপাত্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গত ১৫ নভেম্বর রাতে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেনের সমর্থক শফিকুল ইসলামকে আনোয়ার হোসেনের লোকজন হাতুড়ি পেটা করে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ অপুকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া ভাকুর্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আনোয়ার হোসেন বলেন, দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. শাহাবুদ্দিন ভূইয়া বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। বিতর্কিত এবং জনপ্রিয়তা নেই এমন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য দলের প্রতি অনুরোধ রইলো।
ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল বাতেন বলেন, দলের দুঃসময়ে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মাঠে ছিলেন। যারা দুঃসময়ে ছিলেন তারাই বঙ্গবন্ধুর নৌকা পাবেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য বেশ স্পষ্ট। তারা বলছেন, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা এবং জেলা আওয়ামী লীগের রেজুলেশন এবং বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ থাকলেই নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন