রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে সরকার নিষিদ্ধ ড্রামচিমনী ইটভাটা। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেসাথে ক্ষতির মুখে পড়েছে তিন ফসলী জমি। সরকারি নিষিদ্ধ ১৮টি অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ড্রামচিমনীর ইটভাটা উচ্ছেদ ও ওই সকল ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদফতর, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
গত সোমবার রাতে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের শফিকুল ইসলাম এবং নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা গ্রামে জাহিদুল ইসলামের ড্রামচিমনি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চিমনি ভেঙে দেয় সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মাহমুদুল হাসান। প্রশাসনের উপস্থিত বুঝতে পেরে সে সময় ভাটা কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। কাউকে না পেয়ে ড্রামচিমনি ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অভিযানকৃত ওই দুই ইটভাটা আবারও চালু করেছে তারা। রাতে অভিযান চললেও সকালে অবৈধ ইটভাটা চালু হওয়ায় স্থানীয়বাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেসাথে অবৈধ ড্রামচিমনি ভাটা চালানোর অভিযোগে গত ১৭ নভেম্বর গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বাড়িগ্রাম-দৌলতপুর মোড়ে আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যক্তির ইটভাটায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।
দীর্ঘদিন পরিবেশ অধিদফতর ও প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাগমারার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ওই সমস্ত ইটভাটা। কিছু কিছু ইটভাটায় বছরে দু-একবার অভিযান চালানো হলেও পরবর্তীতে আবারও ওই ভাটাগুলোতে কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। এ সমস্ত ইটভাটায় দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কখনো কখনো সরকারি রাস্তার গাছ রাতের আঁধারে কেটে রেখে তা পোড়ানো হয় বলেও জানা যায়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে অভিযানকৃত ওই দুই ইটভাটা আবারও চালু করেছে তারা। রাতে অভিযান চললেও সকালে অবৈধ ইটভাটা চালু হওয়ায় স্থানীয়বাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অবৈধ ড্রাম চিমনী ভাটা চালানোর অভিযোগে গত ১৭ নভেম্বর গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বাড়িগ্রাম-দৌলতপুর মোড়ে আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যক্তির ইটভাটায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলায় যে সমস্ত ড্রাম চিমনির অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ সহ ওই সকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন