মানিকগঞ্জে এনজিওর চেয়ারম্যান হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড ও চার আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ রায় দেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত- ঢাকার ধামরাই উপজেলার গোয়ারীপাড়া গ্রামের মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে মো. শাহিন আলম (২৫)। অন্যদিকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইলের থানাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম স্বাধীনের ছেলে সাহেদ (২৫), একই উপজেলার নাগরপুর উপজেলার দোয়াজানী গ্রামের হযরত আলীর ছেলে রাজা মিয়া ওরফে রাজা (২৫), নাগরপুর উপজেলার বাবনাপাড়া গ্রামের সামসুল হক বেপারীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৮) ও টাঙ্গাইলের সুইপার কলোনীর মিহির লালের ছেলে বিঞ্চু সুইপার (২৫)।
মামলার এজাহারে জানা যায়, শাহিন আলম ও শহিদুল ইসলাম মিলে প্রিয়বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহিদুল ইসলাম ছিলেন এনজিও চেয়ারম্যান এবং শাহিন আলম ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এনজিওতে অপর একটি সংস্থা থেকে ১০ লাখ টাকার ফান্ড পাওয়া যায়। এ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য শাহিন ও ওই এনজিওর কয়েকজনকর্মী মিলে শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
২০০৬ সালের ২১ মে আসামিরা শহিদকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া এলাকায় নিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মাথা ফেলে রাখা হয়। পরদিন ২২ মে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ পৃথক স্থান থেকে মাথা ও দেহ উদ্ধার করে। পরে স্বজনরা মর্গে শহিদুলের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিন আলম, এনজিও কর্মী সাহেদ, রাজা, আব্দুল কুদ্দুস, বিঞ্চু সুইপার, রহম আলী ড্রাইভার ও সেলিমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
একই রায়ে আসামি রহম আলী ড্রাইভার ও সেলিম ওরফে তেল সেলিমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন