তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও যোগ্য নেতৃত্ব একটি জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট চারটি স্তম্ভ স্থির করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি, ই-গভর্মেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাষ্ট্রি প্রোমোশন এ সুনির্দিষ্ট চারটি শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দাঁড়িয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সরকারি দপ্তর থেকে তথ্য ও সেবা প্রদান বিষয়ক “ই-গভর্ন্যান্স বিধানাবলি” শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
বইটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান ও অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. শিরিন সবনম।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের দপ্তর ও সংস্থা প্রধান ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ই-গভর্ন্যান্স বিধানাবলি সংকলনটির ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে চারটি স্তম্ভের ওপর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দাঁড়িয়ে রয়েছে, সে চারটি স্তম্ভের মধ্যে ই-গভর্মেন্ট অন্যতম একটি শক্তিশালী এবং প্রয়োজনীয় স্তম্ভ। দেশের সরকারি সিস্টেমে যারা আছেন তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা, শ্রম ও মেধার বিনিময়ে এ স্তম্ভটিকে আমরা একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি।
পলক বলেন, সচিবালয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সরকারের সকল দপ্তরে প্রায় ৫২ হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। দেশের মানুষ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারছে। ৮ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজার উদ্যোক্তা দেশের মানুষকে সরকারি সেবা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে কোন কৌশল, নীতিমালা ও আইন দরকার হবে সে বিষয়ে এখনই কর্মপন্থা নির্ধারণের করতে হবে।
বাংলাদেশে এই প্রথম ই-গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত আইন, বিধিমালা, নীতিমালা, নির্দেশিকা ও গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপনের সমন্বয়ে একটি বই প্রকাশিত হলো। যেটি সরকারি দপ্তর থেকে দক্ষতার সঙ্গে তথ্য ও সেবা প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া এই বইটির মাধ্যমে মাঠ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিদ্যমান বিধি-বিধানসমূহ তাৎক্ষণিকভাবে হাতের কাছে পাবেন।
উল্লেখ্য, ই-গভর্ন্যান্স বিধানাবলি সংকলনটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হতে জারিকৃত ই-গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত মোট ১৫টি আইন, ৮টি বিধিমালা, ১২টি নীতিমালা, ৮টি কৌশলপত্র, ১৬টি নির্দেশিকা এবং ৩০টি পরিপত্র ও অফিস স্মারক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সূত্র: বাসস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন