শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শরণখোলায় ইজারা নিয়ে ফেরিতে টোল আদায় কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া খেয়া পরাপারের ইজারা নিয়ে ফেরির টোল আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সাথে ইজারাদারকে নির্দিষ্টহারে টোল আদায় সংক্রান্ত গত ১৬ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দেওয়া সিদ্ধান্তের কার্যকারিতাও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

গত সোমবার এই আদেশ দেন বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে স্থানীয় সরকার সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনারসহ ১০ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রায়েন্দা-বড়মাছুয়া আন্তবিভাগীয় খেয়ার ইজারাদার পার্শ¦বর্তী সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের স্থাপিত ফেরিঘাট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের কাছ থেকে নির্দিষ্টহারে টোল আদায় করতে পারবেন মর্মে গত ১৬ নভেম্বর সিদ্ধান্ত দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার। এরপর থেকে খেয়াঘাটের ইজারাদার ফেরিঘাটে গিয়ে টোলঘর তুলে ফেরি যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু করেন। এতে রায়েন্দা ও বড়মাছুয়া দুই পারের মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পারের বিক্ষুদ্ধ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এসংক্রান্তে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হলে জনবিরোধী এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শরণখোলার সন্তান ও সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস ২৫ নভেম্বর একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিটের পক্ষে চঞ্চল কুমার বিশ্বাস নিজেই শুনানি করেন এবং আইনজীবী আনিচুর রহমান তার সঙ্গে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এব্যাপারে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস গতকাল বুধবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়ার মধ্যবর্তী বলেশ্বর নদ নিরাপদে পারাপার ও জনদুর্ভোগ কমাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ফেরি স্থাপন করে। এই ফেরিতে চলাচলরত যানবাহন দিয়ে নির্ধারিত টোল আদায় করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু, এরই মধ্যে গত ১৬ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আন্তবিভাগীয় খেয়াঘাটের ইজারাদারকে ওই ফেরিঘাট থেকে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের অনুমতি দেন। এতে জনদুর্ভোগ লাঘবের পরিবর্তে আরো বেশি দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। পরে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন