যশোরে পৃথক ছুরিকাঘাতে পাঁচজন যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের ঝালাইপট্টি ও ঈদগাহ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে তারা শহরে আসেন।
আহতরা হলেন- রাসেল হোসেন, হ্যাপি, খায়রুল, টিটু, আকিবুল, মুড়লী মোড় এলাকার সুফিয়ানের ছেলে রাব্বি, রুপদিয়া এলাকার হাবিবুরের ছেলে শামিম হোসেন, চাঁচড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে জয় আহমেদ, ধর্মতলা এলাকার গোস্ট গোপাল ও স্বপনের ছেলে সোহাগ। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রাসেল হোসেন শহরতলীর ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোরাদ হোসেনের ছেলে। হ্যাপি শহরের আরএন রোডের শফি মিয়ার ছেলে। খায়রুল শহরতলীর বিরামপুর গ্রামের রবিউলের ছেলে। টিটু হামিদপুর গ্রামের রেজাউলের ছেলে ও আকিবুল চুড়ামনকাঠি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। আহত রাসেল অভিযোগ করে বলেন, সকালে যুবলীগের বর্ধিত সভায় মিছিল নিয়ে শহরের চিত্রার মোড়ে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আসছিলাম। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঝালাইপট্টি পৌছালে হ্যাপি তার লোকজন নিয়ে আমাকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে আসি। আহত হ্যাপি অভিযোগ করে জানান, রাসেলকে ছুরি আঘাত আমার জানা নাই। যুবলীগের মিছিল শেষে রাসেল লোকজন নিয়ে আমাকে ছুরি মেরে আহত করেছে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। একই ঘটনায় খায়রুলকে ঈদগাহ মোড়ে, টিটুকে মুসলিম একাডেমি স্কুল ও ইকিবুলকে টাউন হল ময়দানে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। তারা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এম আব্দর রশিদ বলেন হ্যাপি, খায়রুল ও আকিবুলের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনজন খুবই আশঙ্কাজনক। ২৪ ঘন্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাইজুল ইসলাম জানান, আমি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হুসাইন স্যার হাসপাতালে আছি। যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনার সত্যতা এবং আসামি আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন