গণপরিবহনে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কসহ ৮ দফা দাবিতে গাজীপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করছেন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে তারা ওই দাবি জানিয়েছেন।
ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের শিক্ষার্থী লিপন সাহা জানান, এক দেশে দুই নীতি কেন? ঢাকার শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাশ অথচ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা পূর্ণ ভাড়া দিবে এটা হতে পারে না। এটা আমরা মানি না। ঢাকার মতো সারাদেশেও গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।
চান্দনা উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোকারম বিল্লাহ জানান, সাড়া দেশে সড়ক, নৌ, রেল এবং মেট্রোরেল এ হাফ পাশ করতে হবে। ফিটনেসবিহীন এবং লাইসেন্সবিহীন কোনো পরিবহন চলাচল করতে পারবে না তা নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও রাস্তা পারাপারের জন্যে জেব্রা ক্রসিং এবং এটা মানার জন্যে কঠোর আইনের ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রæত বিচারিক ট্রাইবুনালে বিচার ও নিহত ছাত্র বা যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এছাড়াও সারা দেশে প্রত্যেক জেলায় যতগুলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ছিল সেগুলো সচল করতে হবে এবং প্রতি জেলায় বিআরটিসি বাস সংখ্যা বাড়াতে হবে। গাড়িচালকদের জন্যে দেশে যতগুলো ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ছিল সেগুলো সচল করতে হবে এবং চালকদের মাসিকভাবে ডোপ টেস্ট করতে হবে। কোনো গাড়িচালক দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে পারবেন না এবং সে হিসেবে স্যালারি পাবেন এবং মালিকের সঙ্গে নির্দিষ্ট দৈনিক অর্থ জমার চুক্তি থাকতে পারবে না তা নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের নিরাপত্তার জন্যে প্রত্যেক বাসের অভ্যন্তরে ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক জানান, ঢাকায় হাফভাড়া কিন্তু সারাদেশে ফুল ভাড়া এটা আমাদের ওপর একপ্রকার জুলুম। এটি কার্যকর হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বিভাজনের সৃষ্টি হবে। আমরা এটা মানি না, দেশের সব শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা আজ মানববন্ধন করলাম, দাবি না মানলে আগামীতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করবো। আগামী শনিবার এসব দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন