কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি চালিয়ে হত্যায় মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পরিমল দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১টা ১৫ মিনিটে কুমিল্লা চাঁনপুর গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে সদর উপজেলার চাঁনপুর গোমতি প্রতিরক্ষা বাঁধে ডিবি ও জেলা পুলিশের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব তথ্য জানান অভিযানে অংশ নেওয়া জেলা গোয়েন্দা বিভাগের এসআই পরিমল দাশ।
তিনি জানান, কয়েকজন অস্ত্রধারী গোমতী বেড়িবাঁধে অবস্থান করছে সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে।
গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি নগরীর সুজানগর এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
এ নিয়ে কাউন্সিলর হত্যা মামলার ৩ আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এর আগে গত সোমবার রাতে এই মামলার আসামি সাব্বির ও সাজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর কুসিক কাউন্সিলর সোহেলের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি করে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে নিহত কাউন্সিলরের ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- সুমন, মাসুম, আশিকুর রহমান রকি, আলম মিয়া, জিসান ও অন্তু। তাদের মধ্যে অন্তু ছাড়া সবাই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন