বাউফলের দাশপাড়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর ফেরদৌস বেগম নামের এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মো. আউয়াল (৫২) ও তাঁর ছেলে মো. রাশেদকে (২০) আটক করেছে। এর মধ্যে মো. রাশেদকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তার বাবা মো. আউয়ালকে জিজ্ঞেসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে কালাইয়া ও ঢাকাগামী বন্ধন-৫ দোতালা লঞ্চ থেকে আউয়াল ও তার ছেলে রাশেদকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আউয়ালকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং রাশেদকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
নিহত গৃবধূর স্বামী জাকির হোসেন বলেন, ফেরদৌসের পায়ে ব্যাথা ছিল। এ কারণে গত ২৯ অক্টোবর সকালে তিনি চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ৩১ অক্টোবর আমি বাউফল থানায় সাধারণ ডায়রি করি। পরে ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর তাদের বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দাসপাড়া ভুরভূরিয়া খালের পাশে ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে থেকে পুলিশ আমার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরের দিন আমার স্ত্রীর ছোট ভাই মো. মহিউদ্দিন অজ্ঞাত আসামি করে বাউফল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী মহিউদ্দিন বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমার বোনের লাশ পাওয়া গেছে ১২ নভেম্বর। অথচ গত ৯ নভেম্বর রাশেদ এক ব্যক্তির কাছে বলে ‘খোঁজাখুঁজি করে লাভ নাই, ফেরদৌস বেগম খুন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে রাশেদ ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। এসব বিষয় আমি পুলিশকে জানালে তাঁরা রাশেদের গতিবিধি লক্ষ্য করে আসছিলেন। রাশেদ বিষয়টি টের পেয়ে লঞ্চযোগে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে নিমদি ঘাটে বন্ধন-৫ দোতালা লঞ্চে তল্লাশি চালিয়ে শৌচাগারের মধ্যে থেকে তাকে আটক করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন